২৪ ঘণ্টাও কাটল না। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডার কথামতোই শুরু হয়ে গেল কাজ। দিলীপ-মুকুলকে নিয়ে বিধানসভা নির্বাচনের সলতে পাকানোর কাজ শুরু করলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। নিউটাউনে দিলীপ ঘোষের বাড়িতেই শুরু হয়েছে এই বৈঠক। জানা গিয়েছে, দিলীপ ঘোষ হাওড়া থেকে বাড়ি ফেরার আগেই সেখানে পৌঁছে যান বিজেপির সর্বভারতীয় নেতা।
গতকালই দলের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুলেছিলেন মুকুল রায়। প্রকাশ্য়েই জানিয়েছিলেন দলে কোনও দ্বন্দ্ব নেই। এমনকী দিলীপ ঘোষের সঙ্গেও তাঁর কোনও সমস্য়া নেই। ইচ্ছে করে অন্য়ান্য় রাজনৈতিক দলগুলি এই ধরনের গুজব ছড়াচ্ছে। সংবাদ মাধ্য়মও নিজেদের খবর করার জন্য় এই খবর করছে। ২১-শের নির্বাচনের আগে বিজেপি একত্রিত হয়ে লড়বে, অন্যথায় বাংলার মানুষ বিজেপিকে ক্ষমা করবে না।
একই কথা শোনা গিয়েছে বিজেপির রাজ্য় সভাপতি দিলীপ ঘোষের কথায়। জানা গিয়েছে, গতকালই তাঁর সঙ্গে সবাইকে নিয়ে চলার কথা বলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। প্রায় ঘণ্টাখানেক দুজনের মধ্য়ে দূরাভাসে কথা হয়। পরে বিজেপির রাজ্য় সভাপতি জানান, কী কথা হয়েছে বললে দলের অনেকেই বিজেপি ছেড়ে চলে যাবেন।
রাজ্য় রাজনীতির সাম্প্রতিক অতীত বলছে, বিজেপিতে মুকুল-দিলীপ সংঘাত নতুন কিছু নয়। দিল্লির বৈঠকের পর যা নতুন মাত্রা নেয়। দিলীপ ব্রিগেডের নেতারা দিল্লিতে থাকলেও মাঝপথে দিল্লি ছেড়ে চলে আসেন মুকুল। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে, চোখের চিকিৎসার তারিখ স্থির রয়েছে বলে জানান তিনি। তবে তাঁর তৃণমূলে ফেরার কোনও প্রশ্নই নেই বলে জানিয়ে দেন প্রাক্তন তৃণমূল নেতা। যদিও মাঝপথে দ্বন্দ্ব তৈরি হয় দিলীপ ঘোষের বেশকিছু কথায়। কদিন আগেই রাজ্য বিজেপির সভাপতির গলায় শোনা যায় ভিন্ন সুর। রাজ্য়ে ক্ষমতা দখলে কাউকে প্রয়োজন নেই তিনি একাই সবার বুকেরওপর পা তুলে ক্ষমতা দখল করতে পারবেন বলে মন্তব্য় করেন দিলীপবাবু। যা নিয়ে দলের অন্দরেই সমালোচিত হন মেদিনীপুরের সাংসদ। পরে দিল্লি পর্য়ন্ত সেই খবর পৌঁছে দেন দলের দিলীপ বিরোধী ব্রিগেড। এরপরই রাজ্য় বিজেপির কান্ডারিকে সবাইকে নিয়ে চলার বার্তা দেন জেপি নাড্ডা।