বৃহস্পতিবার মদন মিত্র একটি মোবাইলের দোকানে এসে মোবাইল কেনেন। জানান তাঁর নতুন 'বান্ধবীর' জন্য মোবাইল কিনছেন তিনি। অকপটে স্বীকার করলেন যে তাঁর কাছে অর্পিতার নাম্বার নেই। তবে বান্ধবী পাতাতে বেশী সময় লাগে না তাঁর।
তাঁর কাছে অর্পিতার নম্বর নেই, তবে তাতে নো পরোয়া। বান্ধবী পাতাতে তাঁর ধারে কাছে যে কেউ নেই, সেকথা বিলক্ষণ জানেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। অবশ্য, শুধু মদন না বলে কালারফুল মদন বলা ভালো। 'কালারফুল মদনের কালারফুল' কথা। এবার প্রকাশ্যে এলো তাঁর বান্ধবীর কথা। ফাঁস করলেন সেই সিক্রেট, যা তাঁর ভক্তরা জানতে চান। তিনি কীভাবে বান্ধবী বানান এত সংখ্যায়। নিজের মুখেই জানালেন সেকথা
বৃহস্পতিবার মদন মিত্র একটি মোবাইলের দোকানে এসে মোবাইল কেনেন। জানান তাঁর নতুন 'বান্ধবীর' জন্য মোবাইল কিনছেন তিনি। অকপটে স্বীকার করলেন যে তাঁর কাছে অর্পিতার নাম্বার নেই। তবে বান্ধবী পাতাতে বেশী সময় লাগে না তাঁর। বেশ কনফিডেন্সের সঙ্গে মদন মিত্র বলেন তিনি যদি রুবির মোড় পর্যন্ত যান, তাহলেই দু-চারটে বান্ধবী পেয়ে যাবেন তিনি। তিনি বলেন 'আমার পা থেকে মাথা পর্যন্ত যা আছে সব বান্ধবীদের দেওয়া, আমি রুবির মোড় পর্যন্ত গেলেই পাঁচটি নতুন বান্ধবী পেয়ে যাব'।
তবে তিনি বান্ধবীদের কিছু দেন না, উলটে বান্ধবীরাই তাঁকে উপহারে ভরিয়ে দেয় বলে খোলসা করেন এদিন বিধায়ক। তার বদলে ওই বান্ধবীদের তিনি বিশুদ্ধ বন্ধুত্ব দেন বলে জানান মদন। গর্বের সঙ্গে তাঁর দাবি আমি যেখানেই যাই সেখানেই বান্ধবী পেয়ে যাই। এর আগেও অবশ্য মদন মিত্র বলেছে আগেও অর্পিতাকে চিনতেন তিনি। তাঁর মাকেও চিনতেন মদন। তবে কোনও ভাবেই তাঁদের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক ছিল না।
আরও পড়ুনঃ
'সময় বলবে', জোকা হাসপাতাল থেকে বারিয়ে তোপ পার্থর, 'আর পারছি না ' বললেন অর্পিতা
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে কোনও ছবি নেই তো! ইডি জুজুতে ভয়ে কাঁটা তৃণমূল নেতারা
পার্থর পর এবার নতুন ফাঁড়া তৃণমূলে, ED-র নোটিশ দলবদলু পিএসসি-র চেয়ারম্যান কৃষ্ণ কল্যাণীকে
তবে পার্থ অর্পিতা সম্পর্ক নিয়ে সরস জবাব দিতে ভোলেননি কামারহাটির বিধায়ক। তিনি বলেন 'এ বিষয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামতে পারব না। কারণ, পার্থ যা পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন। তার ধারেকাছেও আমি নেই। আমি চুনোপুঁটি।' মদন মিত্র ও ব্যক্তিগত জীবনে রঙিন মানুষ। তার অনেক বান্ধবী আছেন। এবং সোশ্যাল মিডিয়া জুড়েও তার অনেক মহিলা ভক্ত রয়েছে।
এর আগেও মদন মিত্র জানিয়ে ছিলেন, ' আমার দু’টি বান্ধবী হয়েছে। তাঁরা বিদেশ থেকে এসেছেন। আমরা নৈশভোজে যাব। কোনও বান্ধবী ডেকে খাওয়ালে তো অন্যায় কিছু নেই। তবে কোনও বান্ধবীকেই দুর্নীতির টাকা দিতে প্রস্তুত নই। কারণ, আমার কাছে দুর্নীতির কোনও টাকা নেই।'
প্রসঙ্গত, নিজের একাধিক মহিলা সঙ্গের কথা বেশ বুক ফুলিয়েই জাহির করেন কামারহাটির এই বিধায়ক।