সংক্ষিপ্ত
গ্রেফতারির পর মুখে কুলুপ এঁটে ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু তাঁকে মন্ত্রিত্ব কেড়ে নেওয়া আর তৃণমূল কংগ্রেস থেকে সাসপেন্ড করার পর অবশ্য আর মুখ বন্ধ করে রাখলেন না। আদালতের নির্দেশ মেনে স্বাস্থ্য পরীক্ষাতে নিয়ে যাওয়ার সময় তিনি যেমন বিস্ফোরক ছিলেন তেমনই হাসপাতাল থেকে বার হওয়ার সময়ও সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন।
স্কুল শিক্ষক নিয়োগ দুর্ণীতিতে অর্থিক তছরুপের অভিযোগ ওঠায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। গ্রেফতারির পর মুখে কুলুপ এঁটে ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু তাঁকে মন্ত্রিত্ব কেড়ে নেওয়া আর তৃণমূল কংগ্রেস থেকে সাসপেন্ড করার পর অবশ্য আর মুখ বন্ধ করে রাখলেন না। আদালতের নির্দেশ মেনে স্বাস্থ্য পরীক্ষাতে নিয়ে যাওয়ার সময় তিনি যেমন বিস্ফোরক ছিলেন তেমনই হাসপাতাল থেকে বার হওয়ার সময়ও সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায় হাসপাতাল থেকে বার হওয়ার সময় বলেন, 'সময়ই সব বলবে।'
হাসপাতাল থেকে বার হওয়ার সময় সাংবাদিকরা পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করেন তাঁকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত ঠিক ছিল কিনা। তার উত্তরেই পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, সেটা সময়ই বলবে। গ্রেফতারির পর এই প্রথম মুখ খুললেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এদিন হাসপাতালে আসার সময় পার্থ বলেছিলেন, 'আমি ষড়যন্ত্রের শিকার।' সেই সময় তিনি নিজের মাস্ক টেনে নামিয়ে দিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন। তবে ষড়যন্ত্র কারা করেছে সে সম্পর্কে পুরোপুরি নীরব থাকেন তিনি। ষড়যন্ত্রকারীদের নাম বা পরিচয় নিয়েও কোনও মন্তব্য করেননি পার্থ। আর বের হওয়ার সময় বললেন সময় বলবে। যার অর্থ স্কুল শিক্ষক নিয়োগ দুর্ণীতিতে গ্রেফতার পর দল যে তাঁর সঙ্গে দুরত্ব তৈরি করার চেষ্টা করছে তা তিনি মোটেও ভালো করে নেননি। তেমনয়ই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কারণ পার্থ বান্ধবী হিসেবে অর্পিতার তথ্য সামনে আসার পর থেকে বিড়ম্বনায় পড়েছে তৃণমূল। শুক্রবার রাত থেকেই পার্থর সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে মরিয়া চেষ্টা করছে তৃণমূল কংগ্রেস।
অন্যদিকে এদিন তাঁর বান্ধবী হিসেবে পরিচিত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কেও জোকার ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। হাসপাতাল থেকে বার হওয়ার সময় অর্পিতা বলেন, 'আমি আর পারছি না!' তবে হাসপাতালে আনার সময় রীতিমত নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। কারণ সেই সময় অর্পিতা গাড়ি থেকে নেমে রাস্তাতেই বসে পরেন। সেখানেই হাউহাউ করে কাঁদতে শুরু করেন। তারপর তাঁকে জোর করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে সূত্রের খবর তাঁর ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া কোটি কোটি টাকা যে তার নয় আর সেই টাকা যে পার্থ চট্টোপাধ্যায় তা তিনি বারবার ইডি কর্তাদের জানিয়েছেন। তবে ইডি কর্তাদের অনুমান টাকার ইস্যু থেকে হাত ধুয়ে ফেলতে মরিয়া চেষ্টা করছেন অর্পিতা। তাই সব দিক খতিয়ে দেখার প্রয়োজন রয়েছে বলেও জানিয়েছেন ইডি কর্তা ব্র্যক্তিরা।
নিয়োগ দুর্ণীতি নিয়ে জগদীপ ধনখড়ের মন্তব্য, অর্পিতার বাড়িতে টাকা উদ্ধারের পরেই ভাইরাল ভিডিও
পার্থর পর এবার নতুন ফাঁড়া তৃণমূলে, ED-র নোটিশ দলবদলু পিএসসি-র চেয়ারম্যান কৃষ্ণ কল্যাণীকে
পৃথিবীর শেষ রাস্তা 'ই-৬৯ হাইওয়ে', এখানে মৃত্যুর হাতছানি পরতে পরতে- রইল আরও তথ্য