
১১৩ কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার কলকাতা বিমান বন্দরে। ১৬ কেজি হেরোইন-সহ গ্রেফতার তিন বিদেশ যাত্রী। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই চক্ষু চড়ক গাছ সবার। দুবাই থেকে একটি বিমানে কলকাতায় আসে ধৃতরা। দিব্যি স্মার্ট ভাবেই ট্রলিতে ওই মাদক নিয়ে যাচ্ছিল। ভাবটা এমন, যেনও কিছুই নিষিদ্ধ জিনিস নেই ব্যাগে। তবে কলকাতা বিমানবন্দরের নিরাপত্তা রক্ষীদের চোখ এড়ানোর সাধ্য কার। ঠিক নজরে পড়ল। ছলাকলা করেও পার পেল না বিদেশী পাচারকারীর দল। তিন বিদেশ যাত্রীর টর্লি থেকে বেরোল ১৬ কেজি হেরোইন। যার বর্তমান বাজার মূল্য ১১৩ কোটি টাকা। এটিই এযাবৎকালে কলকাতায় উদ্ধার হওয়া সবথেকে বেশি পরিমাণ মাদক, দাবি গোয়েন্দাদের।
সূত্রের খবর, চারটি ট্রলি নিয়েই আর দশজন যাত্রীদের মতোই কলকাতা বিমান বন্দরে নেমেছিলেন ওই তিন বিদেশি। তখনও বোঝার উপায় ছিল না, যে তাঁদের ব্যাগের ভিতরেই রয়েছে ১১৩ কোটি টাকার মাদক। কিন্তু সন্দেহ হতেই ট্রলি খুলতেই বেরিয়ে পড়ে ১৬ কেজি হেরোইন। সঙ্গে সঙ্গে ওই তিন বিদেশী যাত্রীকে গ্রেফতার করে ডিআরআই অর্থাৎ রাজস্ব গোয়েন্দা অধিদফতর। এই পুরো ঘটনাটি ঘটে বুধবার। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে শনিবার রাতে। ধৃতদের মধ্যে দুই জন মহিলা এবং একজন পুরুষ। একজন মহিলা ও পুরুষ কেনিয়ার,এব অপর একজন মালওশিয়ার বাসিন্দা। তিনজনকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এই পাচারের নেপথ্যা কার রয়েছে জানা চেষ্টা করছে ডিআরআই।
উল্লেখ্য,এর আগেও কলকাতা বিমানবন্দরে বেল্টের ভিতর থেকে দুর্লভ জিনিস উদ্ধার করা হয়েছিল। একাধিকবার ধরা পড়েছে হীরে সহ নানা মূল্যবাণ রত্ন। উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে গ্রেফতার হয়েছেন অনেকেই। তবে আন্তর্জাতিক স্তরে এই বিপুল পরিমাণ মাদক কোনও দিনও আগে ধরা পড়েনি। তবে এই বিপুল পরিমাণ মাদক শহরে কোথায় পাচার করা হচ্ছি, কেইবা গ্রাহক এই প্রশ্নগুলিও উঠে এসেছে।
প্রসঙ্গত, বিমানবন্দরে আগের থেকে অনেকটাই নিরাপত্তা নিয়ে কড়াকড়ি বেড়েছে। সজাগ থাকছে কাস্টমস থেকে শুরু করে রাজ্য পুলিশও।গত বছরের মার্চ মাস থেকে চালু হয়েছে ডিজি যাত্রা পরিষেবা। মুখ দেখিয়ে রেজিস্ট্রেশন হবে। তারপর অনায়াসে ঢোকা যাবে কলকাতা বিমানবন্দরে।বিমানবন্দরে প্রবেশ থেকে বিমানে ওঠা পর্যন্ত বায়োমেট্রিক তথ্য়ই যাত্রীর পরিচয়। বিমানযাত্রীর কাছের থেকে তার তথ্য় চেক করবে ডিজিট্য়াল পদ্ধতি এবং সেখানেই একই সঙ্গে ফেস রেজিস্ট্রেশন করা হবে। মূলত যাত্রী নিরাপত্তার কথা ভেবেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।