মৃত ব্যক্তিদের নামে বার্ধক্য ভাতা আত্মসাৎ-র অভিযোগ কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে, ফিরহাদকে তোপ সজলের

জাতীয় বার্ধক্য ভাতার টাকা তুলে আত্মসাৎ করার মতো অপরাধে পুরসভার কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল কলকাতা পুলিশ এদিকে এই ঘটনায় কলকাতার মেয়র এবং কাউন্সিলরকে তোপ দাগলেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ।

 

 

Web Desk - ANB | Published : Apr 3, 2022 6:37 AM IST / Updated: Apr 03 2022, 12:23 PM IST

 টাকা তছরুপের অপরাধে পুরসভার কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল কলকাতা পুলিশ। মৃত ব্যক্তিদের নামে জাতীয় বার্ধক্য ভাতার টাকা তুলে আত্মসাৎ করাটাই প্রধান অভিযোগ। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে যখন একের পর এক অভিযোগ উঠেছে, তেমনই এক কঠিত মুহূর্তে ফের অস্বস্তির মুখে তৃণমূল। এদিকে এই ঘটনায় কলকাতার মেয়র এবং কাউন্সিলরকে তোপ দাগতে ছাড়লেন না কলকাতা পুরসভার  ৫০ নং ওয়ার্ডে  কাউন্সিলর তথা বিজেপি নেতা সজল ঘোষ।

জাতীয় বার্ধক্য ভাতার টাকা তুলে আত্মসাৎ করার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। মৃত ব্যক্তিদের নামে জাতীয় বার্ধক্য ভাতার টাকা তুলে আত্মসাৎ করাটাই প্রধান অভিযোগ। এই অপরাধে কলকাতা পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুমন সিং -এর বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করল চিৎপুর থানার পুলিশ। এদিকে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তোপ দেগেছেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ। তিনি বলেছেন, 'যেমন মেয়র, তেমন কাউন্সিলর। এবার কাউন্সিলরকে ধরেছে ওদের দিদিমনির পুলিশ।' প্রসঙ্গত, কলকাতা পুরভোটে অনেক লড়াই করে তৃণমূলের জয়জয়কারের মাঝেই  বিজেপির আসনে ৫০ নং ওয়ার্ডে পদ্ম ফুটিয়েছেন সজল ঘোষ। আর পুরভোটের আগে কম ঝক্কি পোয়াতে হয়নি তাঁকেও। একাগাদা অভিযোগের আস্তারণ সরিয়ে শেষ অবধি তিনি জয়ী হয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই ঘাসফুল শিবিরের কাউন্সিলরের কুকীর্তির অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই আর চুপ করে বসে থাকতে পারলেন না সজল ঘোষ।

আরও পড়ুন, 'ভারতে পেট্রোলের দাম গায়ে লাগলে পাকিস্তানে কাটিয়ে আসুন', মোদীকে কটাক্ষ করতেই সুজনকে তোপ অনুপমের

একেই গরুপাচার থেকে কয়লা পাচার সহ নানা মামলায় জর্জরিত তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতারা।একদিকে সর্বভারতীয় পদে বসে থাকা তৃণমূলের যুবরাজ অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়ের দিকে ঝুলে রয়েছে কয়লা পাচার মামলা। অন্যদিকে শিল্পমন্ত্রীর উপর আইকোর মামলা, কামারহাটির বিধায়ক এবং ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে নারদা মামলার যোগ সূত্র। এদিকে গরু পাচার মামলায় আবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নজরে অনুব্রত মন্ডল। তাই সব মিলিয়ে গলা জলে ডুবে তৃণণূলের হেভিওয়েটরা। তার উপর আবার রামপুরহাটকাণ্ডে তদন্তে নেমেছে সিবিআই। সেখানেও তৃণমূলের জেলা সভাপতির নাম রিপোর্ট তৈরি করে শীর্ষে রেখেছে বিজেপি। তাই একুশের বিধানসভা, কলকাতা পুরভোটে, ১০৮ পুরসভার ভোট প্রায় সবই হাতছাড়া হলেও এখন হাতের পাঁচ রামপুরহাট। তাই অর্থ কেলেঙ্কারি হোক কিংবা নৃশংস হত্যাকাণ্ড, শহর থেকে সবুজ আবির মুছে ফেলতে তাক করে আছে গেরুয়া শিবির। আর এমনই এক জটিল পরিস্থিতিতে ফের সামনে এল কাউন্সিলরের এই টাকা আত্মসাৎ-র কাণ্ড। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনা তৃণমূলকে অস্বস্তি ফেলবে বলেই চাপান উতোর রাজনৈতিক মহলেও।

Share this article
click me!