কলকাতায় তিনটি উৎসব একে অন্যের সঙ্গে জড়িয়ে। সরস্বতী পুজো, ভ্যানেনটাইন ডডে ও সঙ্গে বইমেলা। শীতের রোদ গায়ে মেখে গোটা শহর কলকাতা মেতে উঠে আনন্দ উৎসবে। বইয়ের গন্ধে মাখা কলকাতা বাসীর খুব কাছের উৎসব বইমেলা। সঙ্গে চলে পাত পেরে খাওয়া দাওয়া। কখনও পীঠে পুলি, কখনও আবার গোবিন্দভোগ চালের খিচুড়ি সহযোগে বেগুনভাজা। কিন্তু এবার সেই আনন্দে ভাটা।
জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে হচ্ছে না চলতি বছরের বইমেলা। সেই উৎসব পিছিয়ে এবার টেনে নিয়ে যাওয়া হল জুলাই মাসে। কারণ, অতিমারী। সবে মাত্র করোনার কোপ থেকে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে শহর, গোটা দেশ, গোটা বিশ্ব। এই পরিস্থিতিতে কোনও রকমের ঝুঁকি নিতে নারাজ রাজ্য সরকার। সেই দিকে নজর দিয়েই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। বর্তমান ভোট নিয়ে ব্যস্ত রাজ্য। সামনেই বিধানসভা নির্বাচন।
তার প্রচার থেকে শুরু করে প্রস্তুতি, জনগনের নজরেও এখন সেই ভোট ময়দান। এমন পরিস্থিতিতে এমনই বিভিন্ন জায়গায় জমায়েত থেকে শুরু করে ব়্যালি সবই হচ্ছে। এর ওপর যাতে আরও না সংক্রমণের সম্ভাবনা বাড়ে, সেই কথা মাথায় রেখেই পাঁচ মাস পিছিয়ে দেওয়া হল বইমেলা উৎসব। ৪৫ তম বইমেলা উৎসবে এবার থিম হতে চলেছে বাংলাদেশ। মার্চ মাসে ৫০ তম স্বাধীনতা দিবস পালন করতে চলেছে বাংলাদেশ। সেই সুবাদেই বাংলাদেশকে ট্রিবিউট জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে থিম করা হল সেই দেশকেই।