স্বামীকে খুন করেননি স্ত্রী, ১৬ বছর জেল খাটার পর রায় হাইকোর্টের

  • স্বামীকে পরিকল্পিতভাবে খুন করেননি স্ত্রী
  •  দীর্ঘ মামলার পর জানাল কলকাতা হাইকোর্ট
  •  ১৬ বছর জেল খাটার পর এই রায় শুনলেন মহিলা 
  • কেন আগে অপরাধীর সাজা হয় হয়েছিল মহিলার 
     

Asianet News Bangla | Published : Nov 20, 2019 9:46 AM IST / Updated: Nov 20 2019, 03:17 PM IST

স্বামীকে পরিকল্পিতভাবে খুন করেননি স্ত্রী। দীর্ঘ মামলার পর জানাল কলকাতা হাইকোর্ট। যদিও ততদিনে ১৬ বছর জেল খাটা হয়ে গেছে হুগলির বাসিন্দা কবিতা পাইনের। প্রশ্ন উঠেছে, এতদিন তাহলে কেন সাধারণ জীবন যাপন ছেড়ে জেলে কাটাতে হল মহিলাকে। 

১৯৯৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসের কথা। স্বামীর মদ্যপানে বিরক্ত হয়ে প্রায়শই অশান্তি হত পাইন পরিবারে। এরকমই একটা ২৩ সেপ্টেম্বরে স্বামী তাপস পাইন মদ খেয়ে অশান্তি করলে তুমুল বচসা শুরু হয় কবিতার সঙ্গে। কবিতার আইনজীবীর দাবি, ওই দিন মদ খেয়ে কবিতাকে মারধর শুরু করেছিলেন তাপস। কোনওক্রমে স্বামীর থেকে বাঁচতে ছেলে মৃগাঙ্ককে ডাকতে থাকেন কবিতা। ওপরের ঘরেই সেদিন দুই বন্ধুর সঙ্গে গল্প করছিল মৃগাঙ্ক। মায়ের চিৎকার শুনে বাবাকে বাঁশ দিয়ে মারে সে।

রাগের বশে স্ক্রু ড্রাইভার দিয়েও তাপসকে মারার অভিযোগ ওঠে মৃগাঙ্কর বিরুদ্ধে। কিছুক্ষণের মধ্যেই রণে ভঙ্গ দিয়ে শুয়ে পড়েন তাপস। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, হার্টের অবস্থা ভালো ছিল না তাপসের। তাই রাতে শুয়ে আর জাগেননি তিনি। ঘুমের ঘোরেই মারা যান। এরপরই কবিতার বিরুদ্ধে স্বামীকে খুন করার অভিযোগ ওঠে। ২০০৪ সালে আদালতের রায়ে কবিতাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।  

সেই বছরই একটি এনজিওর হাত ধরে ফের আদালতে মুক্তির জন্য আবেদন জানান কবিতা। ইতিমধ্যেই এক দুর্ঘটনায় মারা যান কবিতার ছেলে মৃগাঙ্ক। দীর্ঘদিন হাইকোর্টে এই মামলার ট্রায়াল চলে।  আবেদনকারীর হয়ে আদালতে মামলা লড়েন জয়ন্ত নারায়ণ চট্টোপাধ্যায়। শেষে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে ওঠে এই মামলা। যেখানে উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ছাড়াও বিচারপতি শুভ্র ঘোষ। 

সব কিছু শুনে ডিভিশন বেঞ্চ রায় দেয়। হাইকোর্ট বলে, স্বামীকে পরিকল্পিতভাবে খুন করেননি কবিতা। এই মামলায় ইতিমধ্যেই জীবনের ১৬টা বছর জেলে কাটিয়েছেন তিনি। এখন তাঁর বয়স ৭২ বছর। তিনি কোনও দাগী আসামিও নন। তাই তাঁকে মুক্তি দেওয়া হল। 

Share this article
click me!