বর্ষা নামতে চলেছে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশাসনের মাথাব্যথা বাড়ছে ডেঙ্গু নিয়ে। প্রতিবারের বিপর্যয় কে রুখতে এবার তাই গোড়া থেকেই কোমর বেঁধে নামল কলকাতা কর্পোরেশন।
কলকাতা কর্পোরেশনের তরফ থেকে ১৩৫ টি বেসরকারি হাসপাতাল নার্সিং হোম রক্ত পরীক্ষা কেন্দ্রের প্রতিদিন প্রতিনিধিদের নিয়ে শুক্রবার পৌর ভবনে একটি বৈঠকে মনে করিয়ে দেওয়া হল ডেঙ্গুর ঘটনা জানামাত্রই প্রটোকল অনুযায়ী চিকিৎসা শুরু করতে হবে।
'হু' প্রোটোকল কী
'হু' প্রটোকল হলো একটি ১৬০ পাতার দস্তাবেজ যেখানে ডেঙ্গু রোগটির যাবতীয় দুধগুলিকে খুঁটিয়ে ব্যাখ্যা করেছে। প্রিভেনশন এন্ড কন্ট্রোল নামক অধ্যায় চিকিৎসার যাবতীয় পরামর্শ দেওয়া আছে। অতীতে দেখা গিয়েছে বেঙ্গল চিকিৎসায় বারবার নাস্তানাবুদ হচ্ছেন চিকিৎসকরা। কোন একটি সঠিক গাইডলাইন না থাকায় দিশেহারা অবস্থা হচ্ছে চিকিৎসকদের প্রাণ সংশয় হচ্ছে রোগীদেরও। এই কারণেই ম্যানুয়াল এর শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে কলকাতা পুরসভা
কেন ভয়
প্রসঙ্গত বর্ষা আসলেই ডেঙ্গির সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এ বছর ইতিমধ্যেই আসানসোলে একজন আক্রান্ত হয়েছেন। প্রতিবারের বিপর্যয় এবার রুখে দিতে বদ্ধপরিকর পুরসভা। তাই প্রথম থেকেই প্রচার, নজরদারিতে জোর দেওয়া হ্চ্ছে পুরসভার তরফে। পুরসভার মূল মাথাব্যথার আরেকটি বড় কারণ ,দেখা যাচ্ছে একই রোগীর শরীরে বছর ঘুরতেই হানা দিচ্ছে অন্য টাইপের ডেঙ্গি। এক্ষেত্রে চিকিৎসকদের বাড়তি তৎপরতা না থাকলে রোগীর প্রাণ সংশয় হয়ে যেতে পারে। পুরসভা তাই ঘোষণাই করে দিচ্ছে প্রতিটি হাসপাতালের সক্রিয়তা সরেজমিনে দেখা হবে। কোনও হাসপাতাল গাইডলাইন না মানলে নেওয়া হবে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা।