বিজেপি নেত্রী নুপুর শর্মাকে এবার তলব করেছে কলকাতা পুলিশ। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪১ এ ধারায় নোটিস পাঠানো হয়েছে নুপুরকে।বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে সেই নুপুর শর্মাকে মুম্বই পুলিশের পর এবার তলব করেছে কলকাতা পুলিশ।
বিজেপি নেত্রী নুপুর শর্মাকে এবার তলব করেছে কলকাতা পুলিশ। মূলত নুুপুরের হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের পর উত্তাল উত্তরপ্রদেশ সহ গোটা দেশ। গতকয়েকদিনে সেই হিংসা ছড়িয়েছে বাংলার একাধিক জেলায়। বোমাবাজি, ইটবৃষ্টি, আঘুন লাগানো কোনওকিছু বাদ যায়নি। বাধ্য হয়েছে রাজ্যের একাধিক জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এতকাণ্ড হয়েছে যার বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে সেই নুপুর শর্মাকে মুম্বই পুলিশের পর এবার তলব করেছে কলকাতা পুলিশ। আগামী ২০ জুনের মধ্য়ে তাঁকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মুম্বই পুলিশের পর এবার নারকেল ডাঙা থানায় তলব করেছে কলকাতা পুলিশ। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪১ এ ধারায় নোটিস পাঠানো হয়েছে নুপুরকে। ইতিমধ্যেই নুপুরের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে বিভিন্ন থানায়। তাঁকে গ্রেফতারের দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহলে। ঘূণাভাষণের অভিযোগে নুপুরের বিরুদ্ধে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি থানায় এফআইআর দায়ের করেছেন তৃণমূলের রাজ্যের সংখ্যালঘু সেলে সাধারণ সম্পাদক তথা আইনজীবী আবু সোহেল। নুপুরের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছায় শান্তিভঙ্গের প্ররোচনা দেওয়া, হুমকি দেওয়া সহ নানা ধারায় মামলা করা হয়েছে। নুপুরকে দ্রুত গ্রেফতার করা না হলে প্রয়োজনে আগামী সোমবার সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন মামলাকারী।
আরও পড়ুন, 'দাঙ্গা বাধানো'- সহ একাধিক অভিযোগ, পুলিশি রদ পদলের পরেই বিরাট সংখ্যায় গ্রেফতার হাওড়ায়
প্রসঙ্গত, ইসলাম ধর্ম ও হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিজেপি নেত্রীর নুপুর শর্মার বিতর্কিত একটি মন্তব্যেই উত্তাল পরিস্থিতি তৈরি হয় উত্তরপ্রদেশের কানপুরে। স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে স্থানীয় সংখ্যালঘুদের সংঘর্ষ শুরু হয়।দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে আহত বেশ কয়েকজন। দোকানেও ভাঙচুরও চালানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আধাসেনা নামাতে হয় উত্তরপ্রদেশ সরকারকে। এদিকে হাওড়াতেও সেই প্রভাব এসে পড়েছে।তাই পরিস্থিতি হাতের বাইরে যাওয়ার আগেই হাওড়ায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। তাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে ইতিমধ্যেই উলুবেরিয়ায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে হাওড়া জেলা প্রশাসন। হিংসার প্রভাব পড়েছে মুর্শিদাবাদ-সহ উত্ত ২৪ পরগণাতেও।
মুর্শিদাবাদের রেজিনগরে অবরোধ করা হয় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক। বিক্ষোভকারীদের সরাতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে খণ্ড যুদ্ধ বাধে। বোমাবাজি, ইটবৃষ্টি চালায় বিক্ষোভকারীদের দল বলে অভিযোগ। পাল্টা বাধ্য হয়ে টিয়ার গ্যাসের সেল ফাটায় পুলিশও। এমনকি অবরোধ তুলতে গিয়ে জখম হন ১২ পুলিশকর্মী পরিস্থিতি এতটাই স্পর্শকাতর হয়ে উঠছে যে, ঝুঁকি না নিয়ে হাওড়ার মতোই এবার মুর্শিদাবাদেও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।অভিযোগ, মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা থানায় ঢিল ছোড়ে একদল বিক্ষোভকারী। এক মহিলার ফেসবুক পোস্টের জেরে সেখানে হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। সূত্রের খবর হাওড়ার হিংসা নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন মুর্শিদাবাদের এক মহিলা। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করলেও বিক্ষোভকারীরা বেলডাঙা থানায় চড়াও হয় বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন, কে এই নুপুর শর্মা ? যার 'বিস্ফোরক' মন্তব্যে চাপের মুখে বিজেপি সরকার