একাধারে ছিলেন শিক্ষাবিদ ও রাজনীতিক, মমতার হাত ধরেই এসেছিলেন রাজনীতিতে

 

  • ৩ বার সাংসদ হয়েছিলেন কৃষ্ণা বসু
  • ৪০ বছর ধরে যুক্ত ছিলেন অধ্যাপনার সঙ্গে
  • ছিলেন সিটি কলেজের প্রধানের দায়িত্বেও
  • সক্রিয় ভাবে সমাজসেবার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন

ফের নক্ষত্র পতন বাংলার বুকে। চলে গেলেন শিক্ষাবিদ ও রাজনীতিক কৃষ্ণা বসু। শনিবার সকালে বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতালে ৮৯ বছর বয়সে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন তিনি। মৃত্যুকালে পাশে চিলেন কৃষ্ণা বসুর দুই পুত্র সুগত ও সমুন্ত্র বসু।

বছর চারেক আগে একবার আর্ট অ্যাটাক হয়েছিল কৃষ্ণা বসুর। তারপর অবশ্য ভালই ছিলেন। কিন্তু কয়েকদিন আগে ফের হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে ভর্তি করতে হয় বাইপাস সংলগ্ন বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই প্রয়াত হলেন এই বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ।

Latest Videos

আরও পড়ুন: প্রয়াত হলেন কৃষ্ণা বসু, ইএমবাইপাসের ধারে বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু

১৯৩০ সালের ২৬ ডিসেম্বর জন্ম কৃষ্ণা বসুর। র্তমানে বাংলাদেশষের ঢাকায় জন্মেছিলেন তিনি। বাবা ছিলেন সংবিধান বিষারদ চারুচন্দ্র চৌধুরী। ছোট থেকেই পড়াশোনায় ভাল ছিলেন কৃষ্ণা বসু। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে অর্জন করেছিলেন স্নাতকোত্তর ডিগ্রি। পাশাপাশি লখনউয়ের ভাতখণ্ড সঙ্গীত ইনস্টিটিউট থেকে পেয়েছিলেন সঙ্গীত-বিশারদ ডিগ্রি। 

প্রায় ৪০ বছর ধরে অধ্যাপনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন কৃষ্ণা বসু।  সিটি কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রধান ছিলেন তিনি। আট বছরের জন্য কলেজের প্রধান হিসেবে দায়িত্বও পালন করেছিলেন। 

আরও পড়ুন: ব্যর্থ হল সব চেষ্টা, পোলবার পুলকার দুর্ঘটনায় আহত ছাত্র ঋষভের মৃত্যু

১৯৫৫ সালে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর দাদা শরৎচন্দ্র বসুর পুত্র শিশিরকুমার  বসুর সঙ্গে পরিণয় সম্পর্কে আবদ্ধ হন তিনি। শিশির বসু ছিলেন পেশায় শিশু চিকিৎসক। কৃষ্ণা বসুর তিন সন্তানের মধ্যে সুগত বসু হার্ভাডের গবেষক। আরেক কৃতি সন্তান সুমন্ত বসু লন্ডন স্কুল অফ ইকনোমিক্সের অধ্যাপর। তাঁর কন্যা সন্তানের নাম শর্মিলা বসু। 

দীর্ঘদিন শিক্ষাবিদ হিসাবে কাজ করার পাশাপাশি তৃণমূলের হয়ে ভোটেও লড়েছিলেন কৃষ্ণা বসু। ১৯৯৬ সালে যাদবপুর থেকে প্রথমবার সাংসদ হন তিনি। এরপর আরও দু'বার যাদবপুর থেকে তৃণমূলের সাংসদ হয়েছেন তিনি। সংসদে তিনি ছিলেন পররাষ্ট্র বিষয়ক সংসদীয় কমিটির চেয়ারপার্সনও। 

কৃষ্ণা বসু সক্রিয়ভাবে জনস্বার্থে কাজ করে গিয়েছেন। তিনি কলকাতার ইনস্টিটিউট অব চাউল্ড হেলথ ট্রাস্টের থাকার পাশাপাশি নেতাজি গবেষণা ব্যুরো কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হয়েছিলেন। ছিলেন অনগ্রসর নারী ও শিশুদের কল্যাণের জন্য গঠিত বিবেক চেতনা নামে একটি এনজিও-র প্রেসিডেন্ট। এছাড়াও একাধিক পত্র-পত্রিকায় নিয়মিত ইংরেজি ও বাংলাতে কলাম লিখতেন তিনি। তিনি নারী ও শিশু উন্নয়ন এবং প্রতিবন্ধীদের কল্যাণের জন্যও আজীবন কাজ করে গেছেন।

Share this article
click me!

Latest Videos

Suvendu Adhikari Live : নবান্নের সামনে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ধর্না অবস্থান মঞ্চে শুভেন্দু
শীতের রাতে যমুনার আতঙ্ক! একের পর এক জঙ্গল দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বাঘিনী | Bandwan Tiger News
নওশাদ সিদ্দিকীকে জঙ্গি আখ্যা Saokat Molla-র, পাল্টা বড় পদক্ষেপ Naushad Siddiqui-র
'মমতা পশ্চিমবঙ্গে ১ কোটি রোহিঙ্গা ঢুকিয়েছে', বিস্ফোরক মন্তব্য Suvendu Adhikari-র
'কেন্দ্র যদি একটু দয়া দেখায় তাহলে হুগলিতেও মেট্রো চলবে', আশাবাদী Rachana Banerjee