প্রতিবারের মত এবছরও মহাষ্টমীতে কুমারী পুজো অনুষ্ঠিত হল বেলুড়ে। এদিন সকালে অষ্টমী বিহিত পুজো অনুষ্ঠিত হওয়ার পর সকাল নটায় শুরু হয় কুমারী পুজো। 'সুভাগা' রূপে পুজো করা হয় এক নাবালিকাকে।
১৯০১ সালে বেলুড় মঠে দুর্গাপুজো শুরু হয় ৷ পুজো শুরু করেন স্বয়ং স্বামী বিবেকানন্দ। ১১৮তম বর্ষে পদার্পণ করে আজও এই পুজো একই রকমভাবে চলে আসছে ৷ স্বামীজিই বেলুড় মঠে কুমারী পুজো শুরু করেছিলেন। সেই রীতি মেনেই বেলুড় মঠের সন্ন্যাসীরা মহাষ্টমীর দিন কুমারীকে দেবী হিসেবে উপাসনা করেন। অষ্টমী তিথিতে বেলুড় মঠের কুমারী পুজো অত্যন্ত নিষ্ঠা ও শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করা হয় ৷
শ্রীরামকৃষ্ণ মনে করতেন, ছোট থেকেই মেয়েদের মধ্যে মাতৃভাবনা প্রকাশ পায়। এই পুজো উপলক্ষ্যে কুমারীকে শাড়ি পরিয়ে, ফুল ও গয়নায় সাজিয়ে তোলা হয়। যে নিয়মে মা দুর্গাকে পুজো করা হয় ঠিক সেই সেই রীতি মেনেই কুমারীও পূজিতা হন। দেবী দুর্গাকে দেওয়া অর্ঘ্য ও নৈবেদ্যই সমর্পিত হয় কুমারীর পায়েও। পবিত্র মন্ত্র পড়ে কুমারীর পুজো করা হয়। আরতি করা হয়। সন্ন্যাসী এবং ভক্তরা কুমারীকে দেবীজ্ঞানে ফুল দিয়ে অঞ্জলি দেন।
কুমারী পুজো উপলক্ষে বেলুড় মঠে প্রতি বছর লাখো মানুষের সমাগম ঘটে।অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয় হাওড়া সিটি পুলিশের তরফ থেকে।