সে ছিল মধ্যবিত্ত বাঙালির প্রাণপ্রিয়। বিশ শতকের গোড়া থেকেই বাঙালি তাঁকে বরণ করে নিয়েছে। কিন্তু ওই বাড়ির আসবাব, বয়স্ক মানুষ অনেকের কাছেই যেমন একটা সময় পর পুরনো হয়ে যায়, বাঙালিও অনেকটা সেভাবেই হাত তুলে নিয়েছে এগরোল রসনা থেক। তার জায়গায় এসেছে পাস্তা,মোমো, সাওয়ারমার মতো কত শত নতুন খাবার। তবে রসিকজন এখনও আছে গুটিকতক এই শহরে। তাঁরা আজও ছুটির দিনে গুটিগুটি পায়ে বিকেল হলেই রওনা হয় এগরোল-ডেস্টিনেশনে। দেওয়া যাক সেই দুনিয়ার সুলুক সন্ধান।
নিজাম
নিজামের বিফ রোল আশির দশক থেকে কলকাতাকে শাসন করেছে। এখানকার বিখ্যাত রোলটি তৈরি হত পাতলা রুমালি রুটির ভিতর কাবাবের পুর দিয়ে।
কুসুম
দীর্ঘদিন বাজার মাত করেছে কুসুমের কাঠিরোল। সুস্বাদু ও অথচ খুব একটা মশলাদার নয় এই রোল। উল্লেখ্য, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মেয়োনিজ রোল ও পনির রোলও বাজারে এনেছে কুসুম।
বাদশার রোল
যাঁরা খেয়েছেন তারা জানেন, বাদশার রোলের ব্যাপারই আলাদা। যাদবপুর সুলেখামোড়ের কাছে এগ ভেজ রোল খেতে ভীড় জমান আবালবৃদ্ধবনিতা।
পার্ক টেরেস কাঠি রোল
পার্ক স্ট্রিটের হট কাঠি রোল স্বাদে গন্ধে অতুলনীয়। এই রোলে ভাজা পরটাোর ভিতরে থাকে চিকেন কাঠি কাবাব পেয়াজ আর গোলমরিচ।
স্মোকচিনো
রাসবিহারির এই দোকান ডায়েট রোল বিক্রি করে। অর্থাৎ এই রোল তেলবিহীন অথচ জীভে জল আনা। চিকেন হরিয়ালি রোল, রেশমি কাবাব রোল এই দোকানের স্পেশালটি।
অন্য খবরঃ শরীরে রক্ত কম, অ্যানিমিয়ার শিকার! রক্ত ফেরাতে খাদ্য তালিকায় রাখুন এই কয়েকটি খাবার
অনকেই বলেন নিজামের হাত ধরে কলকাতায় রোল এসেছে। কেউ আবার বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে মার্কিনিরা কলকাতায় এগ রোল নিয়ে আসে। উৎস যাই হোক না কেন, নব্য পাশ্চাত্য খানার দাপটে রোলের সেই রমরমা নেই। যে বাঙালি বলে বিনা যুদ্ধে সূচাগ্র মেদিনি নাহি দিব, তারা কি পারবে রোলের হারিয়ে যাওয়া রুখতে?