কলকাতার মেয়ের বিশ্বজয়, মধুরাকে বিরল সম্মান কান চলচ্চিত্র উৎসবে

 প্রথম ভারতীয় তথা প্রথম ভারতীয় মহিলা হিসেবে এনজিনিয়াক্স এনকারেজমেন্ট অ্যওয়ার্ডে ভূষিত হলেন কলকাতা নিবাসী  চিত্রগ্রাহক মধুরা পালিত। স্বভাবতই ভারতীয় সিনেমাপ্রেমীদের জন্যে দিনটি গর্বের।

arka deb | Published : Apr 20, 2019 11:18 AM IST

ভারতীয সিনেমায় যেসব কলাকুশলী ক্যামেরার পিছনে কাজ করেন ২০১৯ সাল তাঁদের জন্যে খুব উল্লেখযোগ্য হয়ে থাকল। কান চলচিত্র উৎসবের মঞ্চে  প্রথম ভারতীয় তথা প্রথম ভারতীয় মহিলা হিসেবে এনজিনিয়াক্স এনকারেজমেন্ট অ্যওয়ার্ডে ভূষিত হলেন কলকাতা নিবাসী  চিত্রগ্রাহক মধুরা পালিত। স্বভাবতই ভারতীয় সিনেমাপ্রেমীদের জন্যে দিনটি গর্বের।

মধুরা সত্যজিৎ রায় ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইন্সটিটিউটের প্রাক্তনী। এ যাবৎ তিনটি ফিচার ছবিত্ ক্যামেরার লেন্সের পিছনে ছিল মধুরার চোখ। বেশ কিছু ছেট ছবি, অ্যাড ফিল্মেরও কাজ করেছেন মধুরা।

এক সর্বভারতীয় গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষা ৎকারে এদিন মধুরা বলেন, "আমার কাছে পুরো ব্যাপারটা ঘোরের মতো। এই সম্মানের ভারটা বহন করা খুব কঠিন। আমার মনে হচ্ছে ভাল শট নেওয়ার পরে কেউ পিঠ চাপড়ে দিল। আমার জীবনের যত লড়াই তারই মূল্য এই পুরস্কার।"

প্রসঙ্গত মধুরার তোলা যে সাদা কালো ছবি তাঁকে এই বিরল সম্মান পাইয়ে দিল সেই 'পেপারবয়' কলকাতা শহরে একটি ফুটপাতে বেড়ে ওঠা ছেলের দিনগুজরানের গল্প।  এই ফুটপাত, কানা গলিই তার পৃথিবী। সকালে পেপার দেওয়া থেকে দুপুরে চায়ের দোকান হয়ে শোয়ার জায়গায় ফেরার মধ্যেও স্বপ্নের যে নিরন্তর ধারা তাকেই মনোক্রমে ফুটিয়ে তুলেছেন মধুরা। 
 
এর আগে ২০১৫ সালে একটি চিনা ছোট ছবি 'দ্য গার্ল অ্যাক্রস দ্যা স্ট্রিম'-এর নির্দেশনা ও চিত্রগ্রহণ করেছিলেন মধুরা। ছবিটি আন্তর্জাতিক মহলে সমাদৃত হয়।

কম বাজেটের ছবিতে কাজ করতে পছন্দ করেন মধুরা। কিন্তু বাজেটের টানাটানি যাতে ছবিতে ছাপ না ফেলে, সেইটা সুনিশ্চিত করার চ্যালেঞ্জ নেওয়াটাই মধুরার প্যাশান। আগামী দিনে ভারতীয় সিনেমাকে পথ দেখাবে মধুরার এই মেধা-এমনটাই মনে করছেন তামাম সিনেমামোদীরা।

Share this article
click me!