২৪ ঘণ্টাও কাটল না। রাজ্যপালের রাজভবনে নজরদারির মন্তব্য় নিয়ে পাল্টা দিল তৃণমূল। টুইটারে রাজ্য়পালকে খোঁচা দিতে ছাড়লেন না তৃণমূলের সাংসদ মহুয়া মৈত্র। কী বললেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ ?
ঘটনার সূত্রপাত রাজভবনে স্বাধীনতা দিবসের চা -চক্রকে কেন্দ্র করে। শনিবার যেখানে মুখ্যমন্ত্রী না আসায় বেজায় ক্ষুব্ধ হন রাজ্য়পাল জগদীপ ধনখড়। মুখ্যমন্ত্রীর এই আচরণের প্রকাশ্য়েই সমালোচনা করেন তিনি। রাজ্য়পাল বলেন, কোনওদিন কোনও রাজ্যে এই ঘটনা ঘটেনি। যেখানে রাজ্যপাল-এর স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও তিনি আসেননি। এটা শুধু গণতন্ত্র বিরোধী নয়, এটা দেশের আইন ব্য়বস্থাকে অমান্য করা। সব সময় কেন্দ্রীয় সরকারের এর সঙ্গে দন্দ্ব করলে গণতন্ত্র রক্ষা কীভাবে হবে। কেন্দ্রের সঙ্গে পারস্পরিক সম্পর্ক বজায় রেখেই কাজ করতে হবে।
তবে সব থেকে মারাত্মক মন্তব্য আসে এর পরে। ধনখড় দাবি করেন, রাজভবনের ওপর নজরদারি চালানো হচ্ছে। অনেক কথা রাজ্য় সরকারের কাছে চলে যাচ্ছে। যারা এই কাজ করছে,তাদেরকে শীঘ্রই খুঁজে বের করা হবে। যাদের নাম তদন্তে উঠে আসবে তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্য়বস্থা নেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী কোনও গোপন তথ্য় রাজভবনে চলে এলেও আমি সতর্ক করতাম।
রাজ্য়পালের এই মন্তব্য শুনেই আগুনে ঘি পড়েছে। ধনখড়কে খোঁচা দিয়ে টুইটে মহুয়া মৈত্র বলেছেন,আঙ্কেলজি এখন বলছেন রাজভবন ও তাঁর উপরে নজরদারি করা হচ্ছে। ওই জিনিসটা আপনার গুজরাতের বস সকলের থেকে ভালো জানেন। আমরা এ কাজে নিতান্তই শিক্ষানবীশ।
Uncleji now claims he & WB Raj Bhavan premises under surveillance
Believe me, that’s something your bosses from Gujarat do better than anyone else - any of us would be novices at it :-)
— Mahua Moitra (@MahuaMoitra) August 16, 2020
শনিবার স্বাধীনতা দিবসে পতাকা উত্তোলন নিয়ে রাজনৈতিক হিংসার তীব্র সমালোচনা করেন জগদীপ ধনখড়। এ প্রসঙ্গে মুখ্য়মন্ত্রীকেই কাঠগড়ায় তোলেন রাজ্য়ের সাংবিধানিক প্রধান। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে ফের রাজ্যকে নিশানা করেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন, আমার মাথা লজ্জায় নিচু হয়ে গেছে। যেটা কোনও রাজ্যে হয়নি, সেটা এই রাজ্য হয়েছে। স্বাধীনতা দিবসের দিন রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা ঘটেছে ,সেটাও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা নিয়ে। এটা জাতীয় পতাকার অসম্মান করা হল। রাজ্য আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি কথাই আছে সেটা দেখে বোঝা যাচ্ছে।
এখানেই শেষ হয়নি ধনখড়ের ক্ষোভ। রাজ্য়ের প্রশাসনিক কর্তাদের কাজ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। রাজ্য়পাল বলেন, আপনারা জনতার সেবক- নাকি আপনারা রাজনৈতিক সেবক। আপনাদের রাজনীতি মুক্ত থাকতে হবে। না হলে তার জবাবদিহি আপনাদের করতে হবেই ।