মূলত খারিফ শস্য় ও রবি শস্যধ চাষের জন্যে কৃষকদের পাশে দাঁড়ানো চাই। তাই গত ৩১ ডিসেম্বর রামপুরহাটের সভা থেকে তাই কৃষকবন্ধু প্রকল্প ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয় গত ১৭ জানুয়ারি। তার মাসখানেকের মধ্যেই প্রকল্পের বাস্তবায়ন শুরু হয়ে যায়। ১০ মার্চ ভোট ঘোষণার কারণে অবশ্য থমকে যায় সেই প্রকল্প। ভোট মিটতেই সেই গাড়ি ফের চলতে শুরু করল। সূত্রের খবর ইতিমধ্যেই ৩৪ হাজার ৩২৯ টি মৌজায় চেক বিলি হয়ে গিয়েছে। চলছে অন্যান্য অঞ্চলেও কৃষকের কাছে টাকা পৌঁছে দেওয়ার কাজ। এই প্রকল্পে চাষের জন্যে ২৫০০ করে দুই দফায় মোট ৫০০০ টাকা পাবে রাজ্যের অসংখ্য কৃষকরা।
প্রসঙ্গত গত ১ ফেব্রুয়ারিই কৃষকদের বলা হয় বিডিও-র কাছে এই অর্থমূল্যের জন্যে আবেদন করতে। ৩০ লক্ষেরও বেশি কৃষক আবেদন করেন এই ভাতার জন্যে। অবশেষে সমস্ত খতিয়ে দেখে স্থির হয় ২৫ লক্ষের কিছু বেশি কৃষক এই ভাতা পাবেন। সূত্রের খবর, এই যাবৎ সবচেয়ে বেশি চেক পেয়েছেন দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার কৃষকরা।
কৃষক বন্ধু প্রকল্পের জন্যে ভোটার সচিত্র পরিচয়পত্র থাকতে হবে। সঙ্গে থাকতে হবে, আরও একটি পরিচয়পত্র লাগবে এই পরিচয় পত্র দিতে পারলে এক একর জমির মালিকরা এই ভফাকা পাবেন।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে অন্তর্বর্তী বাজেটে মোদী সরকারও 'কিষাণ সম্মান নিধি' নামক প্রকল্পের কথা ঘোষণা করে। সেখানে প্রান্তিক চাষীদের বার্ষিক ৬০০০ টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়। যদিও সেক্ষেত্রে আয়ের কোমও দ্বিতীয় উৎস থাকলে চলবে না এমনটাই বলা হয়েছিল।