'৩৪ বছর ধরে নরকঙ্কালের মালা পরিয়েছিল, এখন সব ভূলে গলায় ঘন্টা বেঁধে ঘুরছে', লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের অর্থ বিতরণের দিনেই বামেদের আগামাথা তোপ দাগলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়।
'৩৪ বছর ধরে নরকঙ্কালের মালা পরিয়েছিল, এখন সব ভূলে গলায় ঘন্টা বেঁধে ঘুরছে', লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের অর্থ বিতরণের দিনেই বামেদের আগামাথা তোপ দাগলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। রাজ্যে তৃণমূল সরকারের ১১ বছর পূর্তি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এদিন সরকারি অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প সম্প্রাসরণের মাধ্যেম মহিলাদের চেক প্রদান করেন মুখ্যমন্ত্রী। আর তারপরেই এদিন বামেদের জোর নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে শাহ-সফরের দিনে বিজেপিকেও একহাত নেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে সাম্প্রতিক বেশ কিছু নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, খুনে ঘটনায় পুলিশ মন্ত্রী মমতার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল বাম-বিজেপি-সহ অন্যান্য বিরোধীরা। আর এদিন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তারই জবাব দেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় বামেদের নিশানা করে বলেন, '৩৪ বছরের শাসনকালে সবাইকে নরকঙ্কাল মালা পরিয়েছে। খুন করে লাশ ভাসিয়ে দেওয়া হত। তারপর এখন সব ভূলে আবার গলায় ঘন্টা বেঁধে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আগে থানায় গেলে অভিযোগ নেওয়া হতো না। এখন থানায় গেলে অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।'
আৎও পড়ুন, '১ কোটি টাকা দিতে হবে হাঁসখালির নির্যাতিতার পরিবারকে', আইনজীবীর আবেদন কলকাতা হাইকোর্টে
প্রসঙ্গত, রাজ্যে একের পর এক ধর্ষকরা পুলিশের জালে ধরা পড়ছেন ঠিকই, তবে ধর্ষণ বন্ধ হচ্ছে না পশ্চিমবঙ্গে। মার্চের শেষে সেই মাটিয়াকাণ্ডের পর হাঁসখালি, শান্তিনিকেতন, ময়নাগুড়ি, মেদিনীপুর, বীরভূমের কীর্ণাহারে, হুগলির কোন্ননগর, গাইঘাটা, একের পর এক হিংস্রভাবে ধর্ষণের ঘটনা উঠে আসছে। যার ফলে তীব্র আতঙ্কে রয়েছে রাজ্যবাসী। নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল।
তাই এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় আরও বলেন , 'বাংলা যেকোনও রাজ্যের থেকে ভালো। বাংলা আজ যা ভাবে, কাল গোটা ভারত সেই অনুযায়ী কাজ করে। বাংলাতে নারী নিরাপত্তা রয়েছে। থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলে অভিযোগ দায়ের করে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে পুলিশ পদক্ষেপও নেয় না। কি আমার মা-বোনেরা, বাংলায় নারীর নিরাপত্তা নেই, বলে প্রশ্ন করেন এদিন মুখ্যমন্ত্রী। আগে মেয়েদের আলাদা স্কুল ছিল, ছেলে মেয়েরা একসঙ্গে পড়াশোনা করে। এখন ছেলেরা মেয়েদের বন্ধু, মেয়েরা ছেলেদের বন্ধু।'
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাজ্যে তৃণমূল সরকারের ১১ বছর পূর্তি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এদিন সরকারি অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প সম্প্রাসরণের মাধ্যেম মহিলাদের চেক প্রদান করেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিনের বিষয় নিয়ে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় বলেন, প্রচুর মানুষ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পেয়েছিল। বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মলেন থেকে ৫ লক্ষ মানুষকে এই প্রকল্পের সুবিধা দেওয়া হয়েছিল। আজ নতুন করে আমার আরও ২০ লক্ষ মা-বোন এই প্রকল্পের সুবিধা পেলেন।
আরও পড়ুন, রাজ্যে অমিত শাহ, হিঙ্গলগঞ্জে বিএসএফ-র ভাসমান আউটপোস্ট উদ্বোধন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর