প্রধানমন্ত্রীর পোশাক মন্তব্য় নিয়ে এবার পাল্টা রাজনৈতিক আক্রমণে গেলেন মমতা। মোদীকে খোঁচা দিয়ে তৃণমূল নেত্রীর বলেন, সারা দেশ জ্বলছে আর ওনারা কে কি পোশাক পড়েছে তা দেখে বেড়াচ্ছেন।
সম্প্রতি ঝাড়খণ্ডের দুমকায় নির্বাচনী জনসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদ নিয়ে সরব হন প্রধানমন্ত্রী। বিরোধীদের একহাত নিয়ে মোদী বলেন, নাগরিক আইনের বিরুদ্ধে উত্তর-পূর্বের বিভিন্ন রাজ্য ও পশ্চিমবঙ্গে যে হিংসাত্মক বিক্ষোভ হচ্ছে, বিরোধীরা তাকে পরোক্ষে প্রশ্রয় দিচ্ছে। যারা আগুন লাগাচ্ছে, টেলিভিশনে তাদের দেখা যাচ্ছে। পোশাক দেখেই তাদের চেনা যাচ্ছে।
এদিন প্রধানমন্ত্রীর সেই পোশাক মন্তব্য় নিয়ে খোঁচা দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। তিনি বলেন, সারা দেশে এখন নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় আগুন জ্বলছে। এমন কোনও জায়গা নেই, যেখানে নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় বিক্ষোভ হচ্ছে না। এরকম একটা পরিস্থিতিতেও কেউ আপনার,আমার পোশাক নিয়ে মন্তব্য় করছেন। পোশাক দেখেই তিনি প্রতিবাদীদের চিনতে পারছেন। আপনি কি আমার পোশাক দেখে ভালো না খারাপ বলতে পারেন ? আমার চারিদিকে যারা দাড়িয়ে আছে তাদের পোশাক খারাপ বা ভালো মন্তব্য় করার আপনারা কারা? এগুলো পুরোপুরি অবান্তর কথা।
এই বলেই অবশ্য় থেমে থাকেননি মুখ্য়মন্ত্রী। মমতা বলেন, আমি সাদা হাওয়াই চটি পরি। কোনও দিন তারা বলতে পারেন, আপানাকে আমরা গেরুয়া হাওয়াই চটি দিচ্ছি। এবার থেকে আপনি সেটাই পরবেন। পোশাক দেখে রাজনীতি করাটা আমাদের কাজ না। বাংলায় এই ধরনের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না আমরা। তবে মুখ্য়মন্ত্রীর এই মন্তব্য়ের পাল্টা দিতে ছাড়েনি বিজেপি।
এ বিষয়ে বিজেপির রাজ্য় সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, পশ্চিমবঙ্গকে পশ্চিম বাংলাদেশ বানানোর চক্রান্ত চলছে। যাতে পূর্ণ মদত দিচ্ছেন রাজ্য়ের মুখ্য়মন্ত্রী। এদিন মেদিনীপুরের সাংসদ বলেন, রাজ্য়ে এতদিন হয়ে গেল আগুন জ্বলছে,কতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে? হাইকোর্টে এই নিয়ে মামলা হয়েছে, তা নিয়ে কিছু বলতে পারছে না প্রশাসন। মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় সব জানেন, তবুও কিছু বলতে পারছেন না। এই লুঙ্গি সন্ত্রাস রাজ্যে বন্ধ না হলে পশ্চিমবঙ্গ অন্ধকারে ডুবে যাবে।