'মৃতের পরিবার পাবে আর্থিক সাহায্য', ঘূর্ণিঝড়ে কৃষিজমি-বসত বাড়ি নিয়েও বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

  • উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলি থেকে আতঙ্ক কাটেনি 
  •  মৃতের পরিবারকে আর্থিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছে রাজ্য 
  • কৃষিজমি- ঘরবাড়ি ভাঙলেও সাহায্য় করবে সরকার 
  • 'ভরা কোটালের জন্য ক্ষতিগ্রস্থ আমরা,' বার্তা মমতার 

Asianet News Bangla | Published : May 26, 2021 12:02 PM IST / Updated: May 26 2021, 05:34 PM IST


ঘূর্ণিঝড়ের পরেও বাংলার উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলি থেকে আতঙ্ক কাটেনি। বিশেষ নদী সংলগ্ন অঞ্চলগুলিতে হতে পারে ভরা কোটাল।  সাংবাদিক সম্মলনে এদিন এসে এদিন এমনটাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। তাই আগামী দুই দিনও সতর্ক থাকতে বলেছেন সকলকেই। পাশাপাশি মৃতের পরিবারকে আর্থিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছে রাজ্য সরকার।

আরও পড়ুন, যশের দাপটে ভেঙে চুরমার বাঁধ-বসত বাড়ি, ইচ্ছে না থাকা সত্ত্বেও ছলছল চোখে বাহিনীর নৌকায় উঠছে সবাই 

 

 

উল্লেখ্য, যশ আছড়ে পড়ার আগেই ১৫ লক্ষ মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।  এদিন নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় জানিয়েছেন, সকলে তৎপরতার সঙ্গে কাজ করেছে বলেই এখনও পর্যন্ত আমরা বাঁচতে পেরেছি। একটাও বাজে ঘটনা ঘটেনি। শুধু একজন মাছ ধরতে গিয়েছিলেন , সেখানেই তিনি মারা গিয়েছেন। যারা বিদ্যুৎ-এ বা দুর্ঘটনার কবলে পড়ে মারা গিয়েছেন, তাঁদের সঠিক সময় রাজ্য সাহায্য করবে। পাশাপাশি জলের তোড়ে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে প্রচুর। তাই যাঁদের কৃষিজমি নষ্ট হয়েছে এবং ঘরবাড়ি ভেঙে গিয়েছে, তাঁদেরকেও সরকার সঠিক সময়ে সাহায্য করবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন মমতা। তবে এদিনও গত বছরের আমফানের কথা তুলেছেন তিনি। ১ হাজার কোটি টাকা ক্ষতির পরেও কেন্দ্রের সাহায্য পাননি বলে ফের উল্লেখ করেছেন মমতা।  

আরও পড়ুন, দুর্যোগ কাটল কলকাতায়, হাওয়া অফিসের বার্তা পেতেই শহরেরর সব ফ্লাইওভার খুলল পুলিশ 

 

 

 

অপরদিকে মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, 'ভরা কোটাল চলছে। তাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি আমরা। বাঁধ ভেঙে গিয়েছে। অনেক এলাকা জলে প্লাবিত। আজ রাত ৮ টা ৪৫ মিনিটে আসতে পারে ভরা কোটালের প্লাবন। সেখানে ৫ ফুটের উঁচু জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। গঙ্গার কাছাকাছি কালীঘাট, রাসবিহারী এবং ভবানীপুরের একাংশ জলমগ্ন হতে পারে। গঙ্গা সংলগ্ন এলাকায় যেখানে যশের পর জল জমেছে, সেই এলাকাগুলিতে সতর্ক থাকতে হবে। যাতে কেউ বিদ্যুৎ পৃষ্ট না হয়ে যায়, তাই এদিন বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ রাখতে বলেছেন রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদ এবং সিইএসসিকে। 

 
 

Share this article
click me!