মুখ্যমন্ত্রীর এই জাতীয় মন্তব্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুশিয়ারী আগেই দিয়ে রেখেছিলেন শুভেন্দু। এমনকী বুধবারই এই বিষয়ে রাষ্ট্রপতি, রাজ্যপালের কাছে আবেদন করার কথাও জানিয়েছিলেন।
বিএসএফ-র(BSF) ক্ষমতা বৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্র-রাজ সংঘাত লেগে রয়েছে গত মাস থেকেই। এবার তাতেই নতুন করে বিতর্কের বীজ বুনে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা রাজ্য বিজেপির অন্যতম প্রধান মুখ শুভেন্দু অধিকারী(BJP leader Shuvendu Adhikari)। তাঁর সাফ দাবি, ইচ্ছাকৃত ভাবেই রাজ্য পুলিশ ও বিএসএফ-র(BSF-State Police) মধ্যে বিভেদ তৈরির চেষ্টা করছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়(Trinamool leader Mamata Banerjee)। এমনকী এই অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য দরবারও করেলন ধানমন্ত্রীর অফিস (PMO), কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক(Home Ministry) এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রকেও(Defense Ministry)। বর্তমানে যা নিয়ে জোরদার সাড়া পড়ে গিয়েছে রাজ্য-রাজনীতিতে।
এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর এই জাতীয় মন্তব্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুশিয়ারী আগেই দিয়ে রেখেছিলেন শুভেন্দু। এমনকী বুধবারই এই বিষয়ে রাষ্ট্রপতি, রাজ্যপালের কাছে আবেদন করার কথাও জানিয়েছিলেন। গতকালই একটি সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দুকে বলতে শোনা যায়, "বিএসএফ আমাদের সুরক্ষা দেয়, মুখ্যমন্ত্রী তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন? মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন বিএসএফ বাইরের লোক। এটা করে জঙ্গিবাদ, নারী পাচার, গরু পাচারকারীদের উৎসাহিত করছেন মমতা। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হয়ে পুলিশ ও বিএসএফের মধ্যে অশান্তি লাগাতে চাইছেন তিনি।” তখনই রাষ্ট্রপতি, প্রধা এবার সেই বক্তব্যের রেশ টেনেই এদিন চাঁচাছোলা ভাষায় একটি টুইট করতে দেখা গেল রাজ্যের এই বর্ষীয়ান বিজেপি নেতাকে।
তাঁর দাবি মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসে এই ধরণের কোনও মন্তব্য কোনও জননেত্রীকে শোভা দেয় না। এটা স্পষ্টতই বিভাজনের রাজনীতি। এদিনের টুইটের সাথে সাথে মমতার একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন তিনি।বুধবার মালদহের প্রশাসনিক বৈঠকে কিছু মন্তব্য করেছিলেন মমতা।সেখানে তাঁকে বলতে শোনা যায়, সেখানে এক পুলিশ আধিকারিককে উদ্দেশ্য করে রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, “তোমাদের ওখানে একটা প্রবলেম আছে। বিএসএফ ঢুকে যায় গ্রামে গ্রামে। সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচারের খবর আসে। মুর্শিদাবাদ, মালদা, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর প্রচুর বিএসএফ পুলিশকে না জানিয়ে যেখানে সেখানে ঢুকে যায়।” মমতার এই মন্তব্যের ভিডিও পোস্ট করেই ক্ষোভ উগড়ে দেন শুভেন্দু। তার দাবি, সব জেনেশুনেই এই ধরণের মন্তব্য করা হচ্ছে। রাজ্য পুলিশ ও বিএসএফ-র মধ্যে ইচ্ছাকৃত ভাবে বিভেদের বেড়া টানতেই এই কাজ করছেন মমতা। এই ভাষাতেই এদিনের টুইটে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রনণ করতে দেখা যায় তাঁকে। তবে শুভেন্দু মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এখনও পর্যন্ত বিশেষ কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে দেখা যায়নি শাসক দলের নেতাদের।
আরও পড়ুন- প্রশাসনিক বৈঠকেই মহুয়াকে জোর ধমক মমতার, কেন হঠাৎ রেগে গেলেন তৃণমূল সুপ্রিমো