হুগলির তেলেনিপাড়া নিয়ে সুর চড়িয়েছে বিজেপি। এবার পাল্টা হিংসা ছড়ালে পুলিশকে কড়া পদক্ষেপ নিতে বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, হিংসায় উস্কানি দিলে বা প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অনেকে রমজান মাসে জেনে বুঝেই হিংসা ছড়াচ্ছে রাজ্যে।
বুধবার নবান্নে জেলা সভাধিপতিদের নিয়ে বৈঠকে ফের এই প্রসঙ্গ টেনে আনেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "রমজান মাস চলছে, কেউ কেউ আছে হিংসা বাধানোর চেষ্টা করবে।" এদিন জেলাশাসকদেরও সোশ্যাল মিডিয়ায় নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্য়মন্ত্রী বলেন, এই হিংসায় যাঁদের ঘর বাড়ি পোড়ানো হয়েছে তাঁদের তালিকাও চেয়ে পাঠান । যাঁরা গুজব ছড়াচ্ছে তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হোক। রাজ্য়ের সাম্প্রতিক চিত্র বলছে, কদিন ধরেই তেলেনিপাড়ার ঘটনা নিয়ে বিজেপির তোপের মুখে পড়েছেন মুখ্য়মন্ত্রী। নিজের সাংসদ এলাকায় প্রশাসনের আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করতে গেলে ঢুকতে পারেননি হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়।
মঙ্গলবার কারও নাম না করে এই নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন হিংসায় জড়িত থাকা, মদত দেওয়া কোনও পক্ষই ছাড় পাবেন না। লকডাউনের মধ্যেই হিংসায় জড়িয়ে পড়ার কারণে মহামারী আইন প্রয়োগের কথাও বলেন মুখ্যমন্ত্রী। যদিও এ নিয়ে মুখ খুলেছেন বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, একটি বিশেষ গোষ্ঠীর মানুষ ওখানে অত্যাচারিত হচ্ছেন। এ নবিষেয় পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে যাই। প্রথমে আদিকারিক থাকবেন বলেও পরে বলে দেন আসতে পারবেন না।