মিম বিতর্কে ফের সরগরম রাজ্য রাজনীতি। সোশ্যাল মিডিয়ায় এবার ঘুরছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিওয়ালা একটি পরিচয়পত্র। সেই পরিচয়পত্রটিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির সদস্য রয়েছে সদস্য হিসেবে তার ক্রমিক নম্বরও। এদিন বিধানসভা থেকেই এই মিমটির তীব্র ভর্ৎসনা করেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তৃণমূলের অভিযোগ গোটা ঘটনার পিছনেই দায় গেরুয়া শিবিরের সমর্থকদের। অতীতেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। লোকসভা ভোটের মুখেই তাঁর ছবি বিকৃত করে শেয়ার কার জন্যে হাওড়া বিজেপির মহিলা মোর্চার নেত্রী প্রিয়ঙ্কা শর্মাকে গ্রেফতারও করা হয়। পরে অবশ্য ব্যকফুটে চলে যায় তৃণমূলই।
আরও পড়ুনঃ ফের মুখ্যমন্ত্রীর ছবি নিয়ে 'মিম', ছবি নিয়ে রসিকতার নিন্দায় তৃণমূল
মঙ্গলবার বিধানসভায় সাংবাদিক বৈঠকে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ঠিক কেমন এই মিম? এমনই মিম দেখা যাচ্ছে, বিজেপির সদস্যপদের একটি পরিচয়পত্রের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ বসানো ক্রমিক নম্বর-সহ। প্রসঙ্গত, বিজেপির সদস্য গ্রহণ শুরু হয়েছে গোটা দেশ জুড়েই। উল্লেখ্য গত ৬ জুলাই থেকে সদস্যপদের পুনর্নবীকরণ করা হচ্ছে। এই বাংলাতে আগামী ৩১ জুলাই শিবনাথ চৌহান নিজে আসছেন সদস্যপদ নবীকরণ অনুষ্ঠানটিকে আরও গতি দিতে। সেই সদস্যপদের পরিচয়পত্রই ব্যবহার হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর মুখছচ্ছবিওয়ালা মিম বানাতে।
এদিন অবশ্য পুরো ঘটনায় দলকে ক্লিনচিট দিচ্ছেন রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতৃ্ত্ব। তাঁর দাবি, কেউ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি নিয়েই বদমাইশি করছে। এটা স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থার পক্ষে বোঝা সম্ভব নয় খামোখা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির সদস্য হতে যাবেন কেন। তৃণমূলের তরফে গোটা ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে।