ক্যনিং লোকালে প্রহৃত মাদ্রাসা শিক্ষক শাহরুফ হালদারের পাশে দাঁড়ালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিলেন তাঁর চিকিৎসার দায়ভার।
গত বৃহস্পতিবার ১২টা ৫ মিনিটের ট্রেনে উঠেছিলেন শাহরুফ। সেদিন হিন্দু সংহতির মিছিল ছিল ক্যানিং-এ। তালডি, বেদবেরিয়া, ক্যানিং থেকে এই মিছিলের অংশগ্রহণকারীরা ট্রেনে ওঠে। ঢাকুরিয়ায় শাহরুফরা শুনতে পান পিছনের কম্পার্টমেন্টে গোলমাল হচ্ছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই কুড়ি বাইশ জনের দলটি শাহরুফদের কামরায় এসে তাঁকেই প্রশ্ন করে, 'টুপি কেন পরেছিস, দাড়ি কেন রেখেছিস'। তাঁক জয় শ্রীরাম বলতে বাধ্য করা হয় বলেও অভিযোগ। চলে একটানা মারধর। দুষ্কৃতীরা তার রক্তাক্ত দেহ পার্কসার্কাস স্টেশনে ঠেলে ফেলে দেয়। শাহরুফকে এলাকাবাসী উদ্ধার করে। ট্যাঙরা থানায় অভিযোগ জানানো হয় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।
মূল খবরটি পড়ুনঃ কলকাতাতেই শিক্ষককে বেদম মার, দাবি 'জয় শ্রীরাম' বলতে হবে, মুখ খুললেন শাহরুফ
এই ঘটনাটি প্রায় চাপাই পড়ে গিয়েছিল। সংবাদমাধ্যমের তৎপরতায় তা মুখ্যমন্ত্রী পর্যন্ত পৌঁছয়। খবরটি জানতে পেরেই মুখ্যমন্ত্রী শাহরুফকে ফোন করে তাঁর স্বাস্থ্যের খোঁজ নেন। তাঁকে ৫০০০০ টাকা অর্থ সাহায্যেরও প্রতিশ্রুতি দেন।
শাহরুফ একজন সাধারণ মাদ্রাসা শিক্ষক। ক্যানিং থেকে প্রতিদিন হুগলি যাতায়ত করেন তিনি। এদিনের ঘটনার পরে শাহরুফের পাশে দাঁড়িয়েছেন বহু সাধারণ মানুষ, বুদ্ধিজীবী। ঝাড়খণ্ডে তাবরেজের ঘটনায় যখন দেশ উত্তাল, তখন খাস কলকাতায় এই ঘটনা রাজ্যবাসীকে করেছে অবাকই করেছে। সংবাদমাধ্যমকে শাহরুফ জানিয়েছেন, তিনি এখন অনেকটাই সুস্থ। চোখের কোণে এখনও রক্ত জমে রয়েছে তাঁর। এখনও কাজেও যোগদান করতে পারেননি তিনি।