মমতার অস্ত্রেই এবার মমতাকে ঘায়েল করতে নামলেন অমিত শাহ। রাজ্যে এসে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বললেন, এনআরসি নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। কোনও হিন্দু শরনার্থীকে বাংলা ছেড়ে যেতে হবে না।
দিল্লি গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেও লাভ হল না। রাজ্যে এনআরসি যে হচ্ছেই রাজ্যে এসে তা বুঝিয়ে দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। আগে দিল্লি গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বাংলায় এনআরসির প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছিলেন মুখ্য়মন্ত্রী। রাজ্য়ে এসে সরাসরি মমতা বলেছিলেন, জীবন থাকতে বাংলায় এনআরসি হতে দেবেন না। কিন্তু দেখা গেল, তৃণমূল নেত্রীর কথায় সাড়া দেয়নি মোদী সরকার। মঙ্গলবার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির কথাতেই পরিষ্কার,রাজ্য়ে এনারসি হচ্ছেই। যদিও এনারসি হলে বাংলা থেকে কোনও হিন্দু শরনার্থীকে বিতারিত করা হবে না বলে জানান শাহ।
এদিন নেতাজি ইন্ডোরে অমিত শাহ বলেন, এনআরসি নিয়ে রাজ্যবাসীকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। মমতা বলছেন, হিন্দু শরনার্থীদের বাংলা ছেড়ে যেতে হবে । এটা পুরোপুরি মিথ্য়ে কথা। আমরা আশ্বস্ত করিছ হিন্দু, বৈদ্ধ, শিখ,জৈন যারা অত্যাচারিত হয়ে এসেছেন,তাঁদের দেশ ছাড়তে বলবে না সরকার। এরকম একটা সংবেদনশীল বিষয় নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন মুখ্য়মন্ত্রী। তবে তারও আগে হিন্দু শরনার্থীদের জন্য সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট বিল নিয়ে আসছে সরকার।
শাহের অভিযোগ, এখন শরনার্থীদের নিয়ে কুমীরের কান্না কাঁদছেন মমতা। আগে সংসদে এই শরনার্থীদের নাগরিক হওয়ায় বাধা দিয়েছিলেন মমতা। সেবার সরকার সংসদে সিটিজেন্সশিপ অ্য়ামেন্ডেমন্ট বিল আনলে তার বিরোধিতা করে তৃণমূল কংগ্রেস। অমিত শাহ মনে করিয়ে দেন ,মতুয়া সম্প্রদায়কেও সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট বিলের মধ্য়ে আনা হবে। আগে সংসদে নম্বর কম থাকায় এই বিল পাশ করাতে সমস্যায় পড়তে হয় বিজেপিকে। এখন তৃণমূল বিরোধিতা করলেও কোনও কাজ হবে না।