নারদকাণ্ডে তৃণমূলের মন্ত্রীদের 'ইডির তলব', মুখ খুলে কী বললেন ম্যাথু স্য়ামুয়েল

  •  নারদা স্টিং অপারেশন মামলায় তৃণমূলের নেতাদের তলব
  • খবর প্রকাশ্য়ে আসতেই মুখ খুললেন ম্যাথু স্যামুয়েল
  •  ভিডিয়ো বার্তায় ম্যাথু ইডির এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানান
  • নারদাকাণ্ডে ইডির তদন্তে অগ্রগতি নিয়ে আরও কী বলেন ম্যাথু
  •  

Asianet News Bangla | Published : Aug 25, 2020 6:39 PM IST


২৪ ঘণ্টাও কাটল না। নারদা স্টিং অপারেশন মামলায় তৃণমূলের নেতাদের তলব নিয়ে মুখ খুললেন ম্যাথু স্যামুয়েল। এক ভিডিয়ো বার্তায় ম্যাথু বলেন, নারদাকাণ্ডে ইডির তদন্তে অগ্রগতি নিয়ে আমি খুব খুশি। কীভাবে ওই নেতাদের কাছে এত সম্পত্তি এল তা জানতে চেয়ে নোটিশ পাঠিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। যত তাড়াতাডি় এই মামলার নিষ্পত্তি হবে ততই ভালো। 

এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট সূত্রে খবর, মঙ্গলবারের মধ্য়ে নারদাকাণ্ডে ড়়িত তৃণমূলের মন্ত্রী, সাংসদদের সম্পত্তির হিসেব দিতে বলেছে। নিজেরা না এলেও যাবতীয় স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তির হিসেব দিতে হবে নেতাদের। অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে ইডি। এবারও নোটিশ পাঠানো হয়েছে সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, অপরুপা পোদ্দার,সৌগত রায়,মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী ও পুলিশ কর্তা এসএমএইচ মির্জাকে। অতীতেও বহুবার তাদের নারদাকাণ্ডে হাজিরা দেওয়ার জন্য় তলব করেছিল বিভিন্ন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। রাজ্য় রাজনীতির ইতিহাস বলছে, নারদাকাণ্ডে তৃণমূলের বিভিন্ন মন্ত্রী সাংসদদের টাকা নিতে দেখা যায়। সেই তালিকায় সৌগত রায় ছাড়াও ছিলেন কাকলি  ঘোষ দস্তিদার, শুভেন্দু অধিকারী ছাড়াও আরও বড় বড় নাম। 

এই কাণ্ডে নাম জড়ায় পুলিশকর্তা এসএমএইচ মির্জার। তাকে গ্রেফতারও করে পুলিশ । যদিও পরে টাকা তিনি মুকুল রায়কে দিয়েছেন বলে পাল্টা দাবি করেন মির্জা। অতীত বলছে, বিধানসভা ভোটের আগে নারদাকাণ্ড নিয়ে ফের সরব হবে বিজেপি। তৃণমূলের বাংলার গর্ব মমতা ক্য়াম্পেনকে চ্যালেঞ্জ জানাতে বাংলার কলঙ্ক মমতা প্রজেক্ট করা হবে। সেখানে একাধিক দুর্নীতির মামলায় তৃণমূলের নেতাদের নাম জড়ালে আদতে তাদেরই ভালো। ২১শের নির্বাচনের আগে মমতা যে  সততার প্রতীক নয় তা তুলে ধরতে পারবে গেরুয়া ব্রিগেড। 

সম্প্রতি রাজ্যের নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের আয় ব্যয়ের হিসেব চেয়ে নোটিশ পাঠিয়েছে ইডি। এ প্রসঙ্গে এদিন ফিরহাদ হাকিম বলেন, ইডি আয়-ব্যয় এবং সম্পত্তির হিসাব চেয়ে পাঠিয়েছে। আমি তাদের উত্তর দিয়েছি। ২১ এর আগে নির্বাচনের আগে এসব হবে। বিজেপি সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলির রাজনীতিকরণ করে দিয়েছে। নির্বাচন আসবে যাবে। সরকার ভাঙবে গড়বে। কিন্তু সংস্থাগুলির এভাবে রাজনীতিকরণ করাটা ঠিক নয়। এতে সংস্থার প্রতিষ্ঠায় দাগ লাগে।

Share this article
click me!