সাহিত্য়িক কন্য়ার পর কিশোরীকে অশালীন মেসেজ, মহীনের ঘোড়াগুলির সদস্যের কীর্তি ফাঁস

  • শালীনতার গণ্ডি পেরোনোর অভিযোগ রঞ্জন ঘোষালের বিরুদ্ধে
  • অশালীনতার অভিযোগ তুললেন যাদবপুরের ছাত্রী
  • কিশোরীকে কী লিখেছিলেন মহীনের ঘোড়াগুলির তারকা
  • যার  জন্য  নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হল রঞ্জন ঘোষালকে  

ফের শালীনতার গণ্ডি পেরোনোর অভিযোগ উঠল বিখ্য়াত বাংলা ব্যান্ড মহীনের ঘোড়াগুলির সদস্য রঞ্জন ঘোষালের বিরুদ্ধে। আগেই তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন সাহত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্য়ায়ের কন্যা দেবলীনা। এবার সেই তালিকায় নাম উঠল যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয়ের ছাত্রী সুস্মিতা প্রামাণিকের। যার জেরে ফেসবুকে ক্ষমা চাইলেন মহীনের ঘোড়াগুলি ব্য়ান্ডের সদস্য।  

দেবলীনা প্রসঙ্গ এখনও চাপা পড়েনি, তার মধ্য়েই উঠে এল আরও এক অভিযোগ। যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয়ের এক ছাত্রীর অভিযোগ, কিশোরী বয়সে ফেসবুকে তাঁকে অশালীন ইঙ্গিত করেছেন মহীনের ঘোড়াগুলির সদস্য। ফেসবুকে রঞ্জনের সঙ্গে তাঁর কথপোকথন প্রকাশ্য়ে এনেছেন সুস্মিতা। যা ঘিরে হইচই শুরু হয়েছে সোশ্য়াল মিডিয়ায়।  আগেও অভিযোগ উঠেছিল শালীনতার সীমা অতিক্রম করায়। যার জন্য ক্ষমা চেয়েছিলেন রঞ্জন। ফের একবার ফিরে এল সেই  স্মৃতি। ফেসবুকে সুস্মিতা লিখেছেন, 'স্কুল বয়সে ফেসবুকে বড় বড় মানুষদের সান্নিধ্য পেলে ভাবতাম বর্তে গেলাম বুঝি! সেরকমই এক সময় রঞ্জন ঘোষালের সঙ্গে আলাপ। আমি যাকে বলে গদগদ, আহ্লাদিত, গর্বিত প্রাণ। তিনি আমার প্রশংসা করলেন। নিজে থেকে ফোন করেই দরাজ গলায় গান ধরলেন। আমায় ভালোবেসে নাম দিলেন বাবুই। তাঁর নাম হল মশাই। সে এক অন্য ব্যাপার। বোঝাতে পারব না। এদিকে তাঁর ফোন দিনেরাতে পেয়ে পেয়ে আমার যাকে বলে মাটিতে পা পড়ছে না। তিনি আমার ছবি চাইছেন বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে, নাভি বের করা শাড়ি পরা ছবি, বাথরুমের ভেতর থেকে ছবি, শর্টস পরা ফুল লেংথ ছবি।' 

Latest Videos

যদিও সোশ্য়াল মিডিয়ায় তাঁর পোস্ট ভাইরাল হতেই অনেকেই সাবাস বলেছেন সুস্মিতাকে। কিন্তু পোস্টে এত দেরি কেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কেউ কেউ। যার উত্তর নিজেই দিয়েছেন সুস্মিতা। তিনি জানান, সেই সময় প্রতিবাদ কী  তা বুঝতেন না। তাই হেলায় এড়িয়ে গিয়েছিলেন বিষয়টা। কিন্তু সম্প্রতি বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলে তাঁর মনে হয়, রঞ্জন ঘোষাল, মহীনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা একজন মলেস্টার। 'যারা ওর বিরুদ্ধে লিখেছেন তারা বহুদিন আগের কথা লিখেছেন। ভেবেছেন হয়তো উনি বদলে গেছেন। কিন্তু না , উনি বদলাননি। উনি এখনও একটা অমানুষ রয়ে গেছেন। সাথে পিডোফিলও। রঞ্জন ঘোষাল হইতে সাবধান। উনি প্রতিভাবান হতেই পারেন কিন্তু উনি নিঃসন্দেহে একটি খারাপ মানুষ। আর ওর মুখোশ এবার খুলে দেওয়া উচিত,নয়তো এ সময় আর আসবে না। বাকিরা যা লিখেছে তার কোনও প্রত্যক্ষ প্রমাণ দেখাতে পারেননি। ফলে যারা বিশ্বাস করেননি তাদের বলছি, আমার কাছে প্রমাণ রয়েছে। দেখে নিন।'

কদিন আগে একই কথা বলেছিলেন শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্য়ায়ের কন্যা দেবলীনা। দেবলীনা জানান, ১০ বছর বয়স থেকে রঞ্জন ঘোষালকে চেনেন তিনি। তাঁকে কাকু বলে ডাকতেন। একবার বাবার অতি পরিচিত হওয়ায় ওনার সঙ্গে অফিসের কাজের বিষয়ে কথা বলতে গিয়েছিলেন। পরিচিতি থাকায় একাই ওনার অফিস কাম ঘরে বসেন তিনি। হঠাৎ তাঁকে সোফায় বসিয়ে গায়ে হাত দেওয়া শুরু করেন রঞ্জন। পালিয়ে আসতে চাইলে পিছন থেকে তাঁর গালে দাড়ি ঘষতে থাকেন তিনি। কোনওক্রমে ঘরে থেকে পালিয়ে আসেন দেবলীনা। পরে সেই মামলা গড়ায় আদালত পর্যন্ত। এক বছর মামলা চলার পর ওনার চিঠির ভিত্তিতে মামলা তুলে নেন দেবলীনা। যদিও সম্প্রতি রঞ্জনের আরও এক কীর্তি সামনে আসতেই মুখ খুলতে বাধ্য হন তিনি।

এদিকে দেবলীনার বিষয়ে কথা বলতেই রঞ্জন ঘোষাল জানান, এটা একটা পুরোনো ঘটনা। দেবলীনার অভিযোগ আদাালত খারিজ করে দেয়। দেবলীনার বিরুদ্ধে তাঁর কোনও অভিযোগ নেই। তবে তাঁর দাবি, একবার সবার সামনে দেবলীনাকে বকাবকি করেছিলেন তিনি। সেই প্রতিহিংসা থেকে দেবলীনা এইসব করেছে। তবে সংবাদ মাধ্য়মে রঞ্জন যাই বলুন না কেন , তিনি যে কিছু করেছিলেন তাঁর প্রমাণ রঞ্জনের সাম্প্রতিক ফেসবুক পোস্ট। যেখানে তিনি লিখেছেন, 'আমি জানি আমার কথায় এবং আচরণে কারও কারও ব্যক্তিগত পরিধি লঙ্ঘন করেছি। আমি এখন তার জন্য অনুতপ্ত ও নিঃশর্তে ক্ষমাপ্রার্থী। আমার নিজেকে শোধরাতে হবে। কেউ যেন কখনও আমার সান্নিধ্যে এসে নিরাপত্তাহীনতা বোধ না করে। সে বিষয়ে এখন থেকে বিশেষভাবে যত্নবান থাকব। বছর পনেরো আগে একটি তরুণী আমার নামে অশালীন আচরণের অভিযোগ এনেছিলেন। আদালতে সেই মামলা প্রত্যাহৃত হয়। কিন্তু দেড় দশক বাদে অভিযোগকারিণী সম্প্রতি আবার সেই বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সোচ্চার হয়েছেন। এই প্রসঙ্গে একটি প্রিন্ট মিডিয়ার সঙ্গে ফোন-সাক্ষাৎকারে আমি দু-একটি কথা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় উত্তাপের সঙ্গে বলে ফেলি। সেটাও একদমই ঠিক হয়নি। বরং যাদের সঙ্গে যখনই, যেখানে আমি অভদ্রতা করেছি তাদের সকলের কাছে আমি আমার অনুতাপ জানাই ও নিঃশর্ত ক্ষমাপ্রার্থনা করি।

যদি রঞ্জনের ক্ষমা প্রার্থনার পরও অতীতের দুঃসহ স্মৃতি ভুলতে পারছেন না দেবলীনা। তিনি জানিয়েছেন, অনেকেই তাঁকে বিষয়টা নিয়ে আর এগোতে মানা করছেন। বেশ কয়েকজনের তরফে ইমোশনাল ব্ল্য়াকমেলিং করারও চেষ্টা চলছে। তবু রঞ্জনের বিরুদ্ধে নিত্য নতুন সীমা ছাড়ানোর অভিযোগ তাঁর মনে আগুন জ্বালাচ্ছে। 

Share this article
click me!

Latest Videos

মমতা হারবে, DA ন্যায্য অধিকার, জয় আপনাদের দোরগোড়ায়, ঐক্যবদ্ধ থাকুন : শুভেন্দু | Suvendu Adhikari
শীতের রাতে যমুনার আতঙ্ক! একের পর এক জঙ্গল দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বাঘিনী | Bandwan Tiger News
নওশাদ সিদ্দিকীকে জঙ্গি আখ্যা Saokat Molla-র, পাল্টা বড় পদক্ষেপ Naushad Siddiqui-র
Suvendu Adhikari Live : নবান্নের সামনে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ধর্না অবস্থান মঞ্চে শুভেন্দু
এ যেন লুকোচুরি খেলা! ক্ষণে ক্ষণে স্থান পরিবর্তন, এখনও অধরা বাঘিনী যমুনা | Jhargram Tiger News