দু' জনেই ঘনিষ্ঠ বন্ধু। অভিনয়ের পাশাপাশি রাজনীতিতেও পা দিয়েছেন একসঙ্গে। সাংসদ হওয়ার পথে সহ্য করতে হয়েছে হাজারো প্রশ্ন আর সোশ্যাল মিডিয়ার ট্রোল। তাতেও অবিচলিত থেকেছেন দু' জনেই। এবার নুসরতকে ফতোয়া দেওয়ার বিরুদ্ধেও সরব হলেন সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। নিজের সাংসদ এলাকার একটি অনুষ্ঠানে এসে অভিনেত্রী সাংসদ স্পষ্ট বলে দিলেন, বরাবরের মতো নুসরতের পাশেই থাকছেন তিনি।
নুসরত কেন শাখা, সিঁদুর পরছেন, তার বিরুদ্ধেই সরব হয়েছেন কট্টরপন্থীরা। হিন্দু বধূর সাজে নুসরত সংসদে শপথ নেওয়ার পরেই উত্তর প্রদেশের দেওবন্দের এক ইমাম মুফতি আসাদ ওয়াসিম এ নিয়ে ফতেয়া জারি করেন। তাঁর দাবি, মুসলিম হয়ে নুসরতের সিঁদুর পরার অধিকার নেই। সোশ্যাল মিডিয়াতেও নিজের ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে নানা প্রশ্ন, কটাক্ষের সম্মুখীন হতে হচ্ছে সদ্য বিবাহিত নুসরতকে।
আরও পড়ুন- 'শাখা, সিঁদুরের সাজে দারুণ মানিয়েছে নুসরতকে', প্রশংসায় বাবুল, দেখুন ভিডিও
রবিবার দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার বারুইপুরে একটি রক্তদান শিবিরে যোগ দিতে আসেন যাদবপুরের সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। সেখানে নুসরত প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে মিমি বলেন, নুসরত যা করেছেন ঠিক করেছেন। মিমি বলেন, 'নুসরত আমার বন্ধু। ও যা করেছে ঠিক করেছে। আমি ওর সঙ্গেই আছি। ওকে যেভাবে ট্রোল করা হচ্ছে তা সব মেয়েদের পক্ষেই অপমানজনক।'
ভোট প্রচার পর্বে হাতে গ্লাভস পরা নিয়েও ব্যঙ্গ, বিদ্রুপের মুখে পড়তে হয়েছিল মিমিকে। আবার সংসদে শপথগ্রহণের সময় তিনি কেন পশ্চিমী পোশাক পরলেন, তা নিয়ে মিমিকেও প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে। মিমি বলেন, 'প্রথম দিন থেকেই তো আমরা ট্রোল হচ্ছি। সংসদে জিনস পরে যাই বা সিঁদুর পরে যাই, তা নিয়েও আমাদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে। একটা মানুষের তো ব্যক্তিগত জীবন আছে, সেটাকে সম্মান করতে হবে। মানুষের হয়ে কাজ করতে গেলেও ট্রোলড হতে হচ্ছে। এখন ট্রোলিং করাটা তো খুব সহজ বিষয়। আমরা কিছু চাই না, শুধু একটু সম্মান চাই।'