রাজ্যপালকে চিঠি লিখে এবার টুইট শিক্ষামন্ত্রীর, পাল্টা জবাব জগদীপ ধনকড়েরও

  • যাদবপুর নিয়ে এবার রাজ্যপালকে চিঠি শিক্ষামন্ত্রীর
  • চিঠিটি টুইটারে প্রকাশ করেছেন তিনি
  • শিক্ষামন্ত্রীর কাজে সমালোচনা রাজ্যপালের
  • রিটুইট করলেন শিক্ষামন্ত্রীর পোস্টটিও 

Tanumoy Ghoshal | Published : Dec 30, 2019 8:31 AM IST

মুখ্যমন্ত্রীর চিঠি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দিয়েছিলেন তিনি। এবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে চিঠি লিখলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেই চিঠিটি আবার রাজ্যপালকে ট্যাগ করে টুইটারে প্রকাশও করে দিয়েছেন তিনি।  পোস্টটি রিটুইট করাই শুধু নয়, শিক্ষামন্ত্রীর কাজের সমালোচনাও করলেন রাজ্যপাল। 

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে বেনজির বিক্ষোভের মুখে পড়েন রাজ্যপাল তথা আচার্য জগদীপ ধনকড়। তাঁকে কালো পতাকা দেখান পড়ুয়ারা, ওঠে গো ব্যাক স্লোগান। এরপরই রাজ্যের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির পরিস্থিতি আলোচনায় বসতে চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দেন রাজ্যপাল।  ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেই চিঠি জবাব আসে রাজভবনে। জবাবি চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, রাজ্যপালের চিঠি তিনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে পাঠিয়ে দেবেন। শিক্ষামন্ত্রী সুবিধামতো রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলে নেবেন। শনিবার মুখ্যমন্ত্রীর সেই চিঠিটি টুইটারে প্রকাশ করে দিয়েছিলেন রাজ্যপাল।

 


যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি নিয়ে এবার রাজ্যপালকে চিঠি দিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, 'বিশ্ববিদ্যালয় স্বশাসিত প্রতিষ্ঠান।  পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সেখানকার অনুষ্ঠানের দিনক্ষণ নির্ধারণ বা বাতিল করেন উপাচার্যরা। বর্তমান আইন অনুসারে, শিক্ষাদপ্তর এসব বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে না বললেই চলে।' মন্ত্রীর আরও বক্তব্য, 'যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এনআরসি নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন পড়ুয়ারা। রাজ্যের মানুষ ও পড়ুয়ারা এই আইনের ঘোরতর বিরোধী।' রাজ্যপালের দেখানো পথেই আবার চিঠিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও করে দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।

 

 

 

শিক্ষামন্ত্রীর এই কাজ কিন্তু একেবারেই ভালোভাবে নেননি রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। পোস্ট রিটুইট করে তাঁর বার্তা, 'ঢিল মারলে পাটকেল ছোঁড়ার সময় এটা নয়। মুখ্যমন্ত্রীর কথা অনুযায়ী, আমরা বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করব। শিক্ষামন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে ভালোভাবে খোঁজখবর নিয়ে নিতে পারেন।' 

 


 

Share this article
click me!