মোবাইল স্টোরে বিল জমা দেন, আপনিও হতে পারেন প্রতারণার শিকার

  • মোবাইল স্টোরে মোবাইল বিল জমা দিতে গিয়ে প্রতারণার শিকার
  • স্টোরবয়কে বিশ্বাস করে ৩ লাখ ৪৩ হাজার ৩৯০ টাকা খুইয়েছেন ওই ব্যক্তি
  • তদন্তে নেমে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার হাতে গ্রেফতার হয়েছে প্রতারক
  • কীভাবে হল প্রতারণা জেনে অবাক হবেন আপনিও

  

Asianet News Bangla | Published : Nov 10, 2019 9:59 AM IST

মোবাইল স্টোরে মোবাইল বিল জমা দিতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হলেন ৮০ বছরের এক প্রবীণ। স্টোরবয়কে বিশ্বাস করে ৩ লাখ ৪৩ হাজার ৩৯০ টাকা খুইয়েছেন ওই ব্যক্তি। তদন্তে নেমে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার হাতে গ্রেফতার হয়েছে প্রতারক । হুগলির আরামবাগ থেকে অভিযুক্ত সাহেব শেখকে গ্রেফতার  করেছে পুলিশ। আজ তাকে বিধান নগর কোর্টে তোলা হবে।

পুলিশ সূত্রে খবর, গত জুন মাসে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় প্রতারণার বিষয়ে অভিযোগ করেন ওই ব্য়ক্তি। তিনি জানান, তাঁর ব্যাংক অ্য়াকাউন্ট থেকে ৩ লাখ ৪৩ হাজার ৩৯০ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে । কোনও রকম এসএমএস কিছুই আসেনি তা সত্ত্বেও পাসবুক দেখে এই খবর জানতে পেরেছেন তিনি। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ওই ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট থেকে কিছু সোনা কেনা হয়েছে। আমাজন থেকে ওই সোনা কিনে বাকি টাকা পেটিএম-এর মাধ্যমে তার অ্য়াকাউন্টে ট্রান্সফার করা হয়েছে।

পরে জিজ্ঞাসাবাদ করে উঠে আসে আর একটি তথ্য। ওই প্রবীণ ব্যক্তি জানান, প্রতি মাসে সল্টলেকের সিটি সেন্টার-এর কাছে একটি মোবাইল শপ- এ তাঁর বিল জমা করতে যান তিনি। সেখানে এক যুবক তার বিল পেমেন্ট করে দেয়। যা শুনে তড়িঘড়ি ওই যুবকের খোঁজ শুরু করে পুলিশ। জানা যায় সিটি সেন্টারে কাজ করলেও এখন আর সেখানে কাজ করে না সেই যুবক। তদন্তে নেম জানা যায়, নিজে বিল জমা করতে পারেন না বলে তাঁর মোবাইল এটিএম কার্ড ও পাসওয়ার্ড ওই যুবককে দিয়ে দিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। সেই সুযোগ নিয়ে গত জুন মাসের পর এই কাজ করে অভিযুক্ত সাহেব শেখ।

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে বিল পেমেন্ট করার আগে তার অ্যাকাউন্ট থেকে আমাজন থেকে সোনা কেনে ওই যুবক। পরে  পেটিএম-এর মাধ্যমে টাকা ওই যুবকেরঅ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করে নেয়। মোবাইল থেকে এসএমএসগুলো ডিলিটও করে দেয় সে। যার ফলে জানতে পারেনি যে তার অ্য়াকাউন্ট থেকে এত টাকা চিট হয়েছে। বেশ কয়েকদিন পরে ব্যাংকে গিয়ে অ্যাকাউন্ট চেক করে জানতে পারে প্রতারণার বিষয়ে। তারপরই বিধান নগর সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ করেন ওই বৃদ্ধ। স্টোরের তরফে জানানো হয়েছে এই টাকা চিট করার বেশ কয়েকদিন পরই ওখান থেকে কাজ ছেড়ে দেয় ওই যুবক।

Share this article
click me!