ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগ করত আমির, গার্ডেনরিচের ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে উদ্ধার হল আরও টাকা

পরিবহণ ব্যবসায়ী নিসার আলির আমির খানের বাড়িতে গত ১০ সেপ্টেম্বর তল্লাশি চালায় পুলিশ। সেখানে খাটের তলা থেকে মিলেছিল বিপুল টাকার সন্ধান। ২৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার ফের আমির খানের বাড়িতে তল্লাশি চালায় পুলিশ। 

Ishanee Dhar | Published : Sep 27, 2022 5:39 PM IST

গার্ডেনরিচের ব্যবসায়ী আমির খানের বাড়ি থেকে মিলল আরও টাকার হদিশ। মোবাইল গেমিং অ্যাপের মাধ্যমে প্রতারণার তদন্তে নেমে আরও টাকার হদিশ পেল পুলিশ। প্রথম দফার তল্লাশিতে ১৭ কোটি ৩২ লক্ষ উদ্ধারের পর এবার দ্বিতীয় দফার তল্লাশিতে মিলল আরও কোটি কোটি টাকার সন্ধান। 

পরিবহণ ব্যবসায়ী নিসার আলির আমির খানের বাড়িতে গত ১০ সেপ্টেম্বর তল্লাশি চালায় পুলিশ। সেখানে খাটের তলা থেকে মিলেছিল বিপুল টাকার সন্ধান। ২৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার ফের আমির খানের বাড়িতে তল্লাশি চালায় পুলিশ। এবার ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে মিলল প্রায় ১৪ কোটি ৫৩ লক্ষ টাকা। ‘বিনান্স’ নামে একটি প্লাটফর্মে টাকা ট্রান্সফার করা হয়েছিল বলে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। শুধু তাই নয় বিনিয়োগ করা হয়েছিল ক্রিপ্টো কারেন্সিতেও। 

আরও পড়ুন - 'বাড়িতে নজরবন্দি থাকতেও রাজি', আদালতের কাছে 'যে কোনও শর্ত সাপেক্ষে' জামিনের আবেদন পার্থর

প্রসঙ্গত, ১০ সেপ্টেম্বর সকাল ৮ টা নাগাদ কলকাতার চার জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। অভিযান শুরুর ঘন্টা তিনেকের মাথায় গার্ডেনরিচের এক পরিবহণ ব্যবসায়ী নিসার খানের বাড়িতে হানা দেয় ইডির আধিকারিকরা। সেখান থেকেই প্রচুর পরিমাণ নোটের বান্ডিল পাওয়া যায়। প্রথম দফাতেই এই টাকার পরিমাণ ৫ কোটি ছাড়ায়। দোতলা বাড়ির খাটের তলা থেকে প্লাস্টিকের থলিতে মোড়া ৫০০ টাকার অসংখ্য নোটের বান্ডিল পাওয়া গিয়েছে। মিলেছে ২০০০ টাকার নোটের বান্ডিলও। ইতিমধ্যেই ওই বাড়ির সামনে অতিরিক্ত ফোর্স চেয়ে পাঠিয়েছে ইডি। মোতায়েন করা হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদেরও। 

আরও পড়ুন - ফের সিবিআই-এর আতশকাচের নীচে পার্থ-ঘনিষ্ট, মোনালিসা দাসের দাদা মানস দাসের নামে একাধিক সম্পত্তির হদিশ

সূত্রের খবর একটি সাইবার প্রতারণা সংক্রান্ত বিষয় শনিবার শহরে তল্লাশি অভিযান শুরু করে ইডি। পার্ক স্ট্রিটের কাছে ম্যাকলয়েড স্ট্রিটের পাশাপাশি নিউটাউন, মোমিনপুরে বন্দর সংলগ্ন এলাকায় এবং গার্ডেনরিচের শাহি আস্তাবল গলিতে অভিযান চালায় ইডি আধিকারিকরা। সেখান থেকেই কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হয়। প্রাথমিকভাবেই এই টাকার অঙ্ক কোটি ছাড়াবে বলেই মনে করেছিলেন ইডির আধিকারিকরা।  

আরও পড়ুন - 'পার্থ-অনুব্রত দলের পচে যাওয়া অংশ', জহর সরকারের মন্তব্যে অস্বস্তি বাড়ছে ঘাসফুল শিবিরে

Share this article
click me!