নিজের কন্যাকে শ্লীলতাহানি, চিকিৎসক বাবার দিকে অভিযোগের তির খোদ ডাক্তার স্ত্রীর

 

  • ৬ বছরের মেয়ের শ্লীলতাহানি করেছে বাবা
  • স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ স্ত্রীর
  • অভিযুক্ত বাবা পেশায় চিকিৎসক
  • শিশুটির মাও কলকাতা পুরসভার চিকিৎসক

Asianet News Bangla | Published : Jan 4, 2020 3:23 AM IST / Updated: Jan 04 2020, 11:41 AM IST

নিজের কন্যা সন্তানকে তিনি নিজেই শ্লীলতাহানি করেছেন। চিকিৎসক বাবার দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তুললেন শিশুটির মা। যিনি নিজেও পেশায় একজন চিকিৎসক। এই মামলায় নিম্ন আদালতে জামিন পাননি শিশুটির বাবা।

হরিদেবপুরের বাসিন্দা চিকিৎসক সপ্তর্ষী বন্দ্যোপাধ্যায় কর্মসূত্রে থাকেন কাতারে। তাঁর স্ত্রী সুনীপা গঙ্গোপাধ্যায় কলকাতা পুরসভার চিকিৎসক। ১১ বছর আগে বিয়ে হয়েছিল দু'জনের। দম্পতির ৬ বছরের একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। হরিদেবপুরের বাড়িতে বর্তমানে সপ্তর্ষীর বাবা, মা থাকেন। স্ত্রী সুনীপা মেয়েকে নিয়ে থাকেন বেহালার ফ্ল্যাটে। 

আরও পড়ুন : শুরুর আগেই নজিরবিহীন ভাবে রদবদল জঙ্গিপুর পুলিশ জেলায়, সরানো হল নবনিযুক্ত পুলিশ সুপারকে

হরিদেবপুরের সম্পত্তি বৌমা হাতিয়ে নিতে চাইছে বলে গতবছর এপ্রিলে আলিপুর আদালতে সুনীপার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান তাঁর শাশুড়ি। সপ্তর্ষিতও গত ৩১মে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা ঠোকেন ওই আদালতেই। এদিকে  আবার ১০ জুলাই স্বামী সহ শ্বশুড়বাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের অভিযোগ জানান সুনীপা গঙ্গোপাধ্যায় বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে জুলাইয়ে সম্পর্ষি সহ সকলেই জামিন পান।

আরও পড়ুন : দিল্লিতে সন্ত্রাসবাদী হামলায় হাত ছিল সোলেমানির, চাঞ্চল্যকর দাবি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের

গত বছর ৩১ জুলাই বেহালার একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পাঠরত মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে যান সুনীপার স্বামী সম্পর্ষি। স্কুল কর্তৃপক্ষকে তিনি চিঠি দিয়ে জানান যাতে স্ত্রী অন্য স্কুলে মেয়েকে স্থানান্তরিত করতে না পারেন। সেদিনই সুনীপা স্বামীর বিরুদ্ধ মারধরের অভিযোগ জানান বেহালা থানায়। এরপর ২৭ অগস্ট সপ্তর্ষী নিজের মেয়ের শ্লীলতাহানি করেছেন বলে অভিযোগ তোলেন সুনীপা। 

গ্রেফতারি এড়াতে সপ্তর্ষি আলিপুর আদালতে আগাম জামিনের আবেদন জানান, কিন্তু আদালত তা খারিজ করে দেয়। ২৯ নভেম্বর গ্রেফতার হন চিকিৎসক। আলিপুর আদালতে দু'দফায় তাঁর জামিন খারিজ হওয়ায় শেষপর্যন্ত কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ওই চিকিৎসক। তবে হাইকোর্টে ফেরায়নি সপ্তর্ষীকে, মঞ্জুর করা হয় তাঁর জামিন। 

সুনীপার করা অভিযোগের কোনও সারবত্তা নেই বলেই আদালতে জানিয়েছেন বিচারপতি শিবকান্ত প্রসাদ। এরপরেই চিকিৎসক সপ্তর্ষী মুখোপধ্যায়ের জামিন মঞ্জুর করা হয়। আদালত পর্যবেক্ষণে জানায়, সমগ্র সমাজ ব্যবস্থায় যে পচন ধরেছে তা এই ধরণের অভিযোগের পর বোঝাই যাচ্ছে।

Share this article
click me!