লকডাউনের মধ্য়েও রহস্যজনক ঘটনা ঘটল দমদমের মল রোডে। এলাকার একটি বন্ধ ঘর থেকে মা ও মেয়ের পচাগলা দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। পচাগলা অবস্থায় খাটের মধ্য়ে পড়ে রয়েছে মা। পাশের ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় অবস্থায় উদ্ধার হয় মেয়ের দেহ। খুন না আত্মহত্যা? ধন্দে এলাকার বাসিন্দা। যদিও মানসিক অবসাদে মা-মেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান করছে পুলিশ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মল রোডের বাসিন্দা বছর ষাটের অপর্ণা দাস ও পঁচিশ বছরের মেয়ে বৈশাখী দাস ওই বাড়িতে থাকতেন। অপর্ণা দেবীর স্বামীর আগেই মারা গিয়েছিলেন। তারপর থেকেই ওই বাড়িতে মা ও মেয়ে একসঙ্গে থাকতেন। স্বামীর পেনশনের টাকাতেই সংসার চলত তাঁদের।
এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়ালে পুলিশে খবর দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশ পৌঁছে বন্ধ ঘরের দরজা ভেঙে জোড়া মৃতদেহ উদ্ধার করে। অপর্ণা দেবী ও তাঁর মেয়ে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান করছে পুলিশ। সেকারণে কী আত্মঘাতী মা-মায়া? ভাবাচ্ছে পুলিশকে।
মৃতদেহ উদ্ধার করে সাগরদত্ত হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। ঘটনা পিছনে খুন না আত্মহত্য়া, তদন্ত শুরু করেছে দমদম থানার পুলিশ।