কন্যাসন্তানের হতাশা না মানসিক বিকার, দু' মাসের মেয়েকে মেরে মিথ্যে গল্প মায়ের

Published : Jan 27, 2020, 11:01 AM ISTUpdated : Jan 27, 2020, 02:58 PM IST
কন্যাসন্তানের হতাশা না মানসিক বিকার, দু' মাসের মেয়েকে মেরে মিথ্যে গল্প মায়ের

সংক্ষিপ্ত

কলকাতার বেলেঘাটার ঘটনা দু' মাসের মেয়েকে খুন করল মা মেয়েকে মেরে ম্যানহোলে ফেলে দেয় গৃহবধূ খুনের উদ্দেশ্য জানতে মনোবিদের সাহায্য় নিচ্ছে পুলিশ

মুখে লিউকোপ্লাস্ট বেঁধে দু' মাসের শিশুকন্যাকে ম্যানহোলে ফেলে খুন করল মা। শিউরে ওঠার মতো এমনই ঘটনা ঘটল কলকাতার বেলেঘাটায়। প্রথমে শিশুকন্যা অপহরণের গল্প ফাঁদলেও শেষ পর্যন্ত গৃহবধূর এই কুকীর্তির কথা বুঝতে পেরে যায় পুলিশ। রবিবার রাতেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। 

ধৃত ওই মহিলার নাম সন্ধ্যা মালো। রবিবার দুপুরে সন্ধ্যা দাবি করেছিল, এক যুবক ঘরে ঢুকে তার শিশুকন্যাকে অপহরণ করে নিয়ে চলে গিয়েছে। ঘটনার তদন্তে নামে বেলেঘাটা থানার পুলিশ। কিন্তু শুরু থেকেই মহিলার বক্তব্যে বেশ কিছু অসঙ্গতি ধরা পড়ে। শেষ পর্যন্ত পুলিশি জেরায় ভেঙে পড়ে অভিযুক্ত সন্ধ্যা মালো। নিজের শিশপকন্যাকে সে-ই খুন করেছে বলে স্বীকার করে নেয় গৃহবধূ। যে বহুতলে ওই মহিলা থাকতেন, তার সামনেই একটি ম্যানহোলের মধ্যে থেকে শিশুকন্যার দেহ উদ্ধার হয়। 

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, রবিবার দুপুরে ওই গৃহবধূর শ্বশুরমশাই ঘরের মধ্যে সন্ধ্যা মালোকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। এর পরই ওই গৃহবধূ দাবি করে, এক যুবক দরজা খুলে এসে তার দু' মাসের মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছে। যে সময়ে এই ঘটনা ঘটে তখন ঘরে একাই ছিল ওই গৃহূবধূ। বাড়ির আয়া ছাদে কাপড় মেলতে গিয়েছিলেন। আর অভিযুক্তের শ্বশুর এবং শাশুড়িও বাইরে ছিলেন। 
গৃহবধূর অসংলগ্ন বয়ানে শুরু থেকেউ সন্দেহ হচ্ছিল পুলিশ। বেলেঘাটার মতো ব্যস্ত এলাকায় কীভাবে দুপুরবেলা এক যুবক আবাসনের মধ্যে থেকে শিশুকে চম্পট দিল, তা নিয়েও প্রশ্ন জাগে তদন্তকারীদের মনে। বারংবার জেরায় শেষ পর্যন্ত সত্যিটা স্বীকার করে নেয় সন্ধ্যা মালো। 

নিজের মেয়েকেই কেন ওই গৃহবধূর খুন করল, তা নিয়েই বিভ্রান্ত পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, মেয়ের প্রতি তার যে টান ছিল না, জেরায় তা স্বীকার করে নিয়েছে অভিযুক্ত গৃহবধূ। মেয়েকে দেখাশোনা নিয়েও সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছিল সে। তারই জেরে এতবড় সিদ্ধান্ত নেয় ওই গৃহবধূ। তবে এই ঘটনা যে পূর্ব পরিকল্পিত, সে বিষয়ে নিশ্চিত তদন্তকারীরা। কারণ কোন সময় ঘরে কেউ থাকবে না, তা আগে থেকেই জানত সন্ধ্যা। শুধু তাই নয়, ওই ম্যানহোলটি যে সহজে খুলে ফেলা যায়, তাও জানত সে। সুযোগ বুঝে নৃশংস পরিকল্পনাকে বাস্তব রূপ দেয় ওই গৃহবধূ। 

তদন্তকারীদের ধারণা, কন্যাসন্তান হওয়ার হতাশাও গ্রাস করেছিল তাকে। তবুও সঠিক কী কারণে সন্ধ্যা নিজের শিশুকন্যাকেই খুন করল, তা জানতে মনোবিদেরও সাহায্য নিচ্ছে পুলিশ। মনোবিদরাও বলছেন, হয় কন্যাসন্তান হওয়ার হতাশা থেকেই সন্ধ্যা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। তা না হলে প্রসব পরবর্তী সময়ে মানসিক অবসাদের শিকার হয়েই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে সন্ধ্যা। মনোবিদদের দাবি, সন্তান প্রসবের ছ' মাসের মধ্যে কিছু ক্ষেত্রে এই ধরনের মানসিক অসুখের শিকার হন মহিলারা। 
 

PREV
click me!

Recommended Stories

বাংলায় সপ্তম বেতন কমিশন এই ডিসেম্বরেই? ২৬-এর ভোটের আগে বেশ বেকায়দায় নবান্ন
Lakshmir Bhandar: নতুন বছরে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে ডবল টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত? নয়া আপডেট