আজ থেকেই চিঠি পাবেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়য়। চিঠিতে লেখা থাকবে জয় শ্রীরাম। এমনটাই স্পষ্টভাষায় জানিয়ে দিলেন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং।
অর্জুনের বক্তব্য, "দিদিমনির সঙ্গে পুলিশ আর গুন্ডা ছাড়া কেউ নেই। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে প্রতিটি থানার পুলিশ অফিসার সাধারন মানুষ সহ বিজেপি কর্মী সমর্থকদের বাড়িতে ঢুকে অত্যাচার করছে। বাড়ি ভাঙচুর করছে। কোন অনুমতি ছাড়াই যখন তখন মা বোনেদের ঘরে ঢুকে যাচ্ছে। পুলিশের অত্যাচার থেকে বাদ যাচ্ছেনা বাচ্চারাও।" রবিবার আমডাঙ্গা ও দত্তপুকুর থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে এসে ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং এমনই মন্তব্য করেন।
এদিন পুলিশি অত্যাচারের প্রতিবাদে ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজয়ী প্রার্থী অর্জুন সিং এর নেতৃত্বে বিকেলে থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি নেতা কর্মী ও সমর্থকেরা। প্রথমে আমডাঙ্গা থানা পরে দত্তপুকুর থানায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়।
সংবাদমাধ্যমের সামনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং বলেন, জয় শ্রীরাম ধ্বনি শুনলেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মেজাজ হারাচ্ছেন। তাদের জেলে ঢোকাচ্ছেন। আল্লাহ এর নাম শুনলে আমি বা আমার দল বিজেপির কোন সমস্যা হয় না। কিন্তু জয় শ্রীরাম শুনলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমস্যা হচ্ছে।
এর পরেই অর্জুন জানান তার মাস্টার প্ল্যান। বলেন, " ঠিক করেছি জয় শ্রীরাম লেখা দশ লক্ষ পোষ্টকার্ড পাঠানো হবে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে।" এদিন থেকেই এই কর্মসূচি শুরু হয়ে গেছে বলে অর্জুন সিং দাবি করেন। তিনি এই প্রসঙ্গে আরও বলেন, প্রত্যেক মানুষ পোষ্টকার্ড কিনে জয় শ্রীরাম লিখে নিজের ঠিকানা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির ঠিকানায় পোষ্টকার্ড পাঠানো শুরু করে দিয়েছে। এরপরে দেখি পুলিশ আমাদের কতজনকে গ্রেপ্তার করে। বোঝাই যাচ্চে ভাঁটপাড়ার ঘটনায় ১০ জনের গ্রেফতারির বদলা নিতে চাইছেন দুদে রাজনীতিক, সদ্য রং বদলানো অৰ্জুন সিং।
কুনাল ঘোষ ও মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক নিয়েও কটাক্ষ করেন অর্জুন। বলেন, "দিদিমণির এমন বেহাল অবস্থা হয়ে গেছে, যে যারা জেল খেটে আসছে তাদেরকে প্রার্থী করছে।"
উদাহরণ হিসেবে মদন মিত্রের কথা বলেন ব্যারাকপুরের সাংসদ। কুনাল ঘোষের নাম না করে বলেন, ''যাঁরা জেল খেটেছে তাদের নিয়ে মিটিং করছেন মুখ্যমন্ত্রী।''