বাঁচিয়ে দিল উপনির্বাচন, প্রতারণা মামলায় স্বস্তি মুকুলের

  • রেলবোর্ডে সদস্যপদ পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণা মামলা 
  • মামলায় আপাত স্বস্তি পেলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়
  • উপনির্বাচনে দলের দায়িত্বে থাকায় মুকুলকে স্বস্তি
  • ভোট পরবর্তী সময় ডাকা হলে অবশ্য়ই হাজিরা দিতে হবে মুকুলকে
     

Asianet News Bangla | Published : Nov 5, 2019 1:29 PM IST

রেলবোর্ডে সদস্যপদ পাইয়ে দেওয়ার প্রতারণা মামলায় আপাত স্বস্তি পেলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছে, রাজ্যের তিন কেন্দ্রে উপনির্বাচনে দলের দায়িত্বে থাকায় এখন মুকুল রায়কে থানায় হাজিরা দিতে হবে না। ভোট পরবর্তী সময় ডাকা হলে অবশ্য়ই হাজিরা দিতে হবে রাজ্য বিজেপির এই নেতাকে।

মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, এই মামলার পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত গ্রেফতার করা যাবে না মুকুলকে। তবে তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে তাঁকে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা যাবে ২৫ নভেম্বরের পর। ফলে উপনির্বাচনকে হাতিয়ার করে এই মামলা থেকে বেশ খানিকটা অক্সিজেন পেয়ে গেলেন মুকুল। মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে আগামী ৪ ডিসেম্বর। 

রেলবোর্ডে সদস্যপদ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগ ওঠে বিজেপি নেতা বাবান ঘোষের বিরুদ্ধে। এই মামলায় সন্তু গঙ্গোপাধ্যায় নামের এক ব্যক্তি বাবানের বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ করেন। এই ঘটনায় মুকুল রায় জড়িত বলেও দাবি করেন সন্তু। সরশুনা থানায় প্রতারণা মামলার এফআইআর-এ বাবান, মুকুল সহ ৪ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়। মামলায় পুলিশ বাবান সহ আরও একজনকে গ্রেফতার করে। পরে অবশ্য তাঁরা জামিন পেয়ে যান। কিন্তু গ্রেফতারি এড়াতে মুকুল কলকাতা হাইকোর্টে আগাম জামিন চেয়ে আবেদন করেন। যার ভিত্তিতে বিচারপতি শহিদুল্লা মুন্সি ও বিচারপতি শুভাশিস দাশগুপ্তর ডিভিশন বেঞ্চ অন্তর্বর্তী নির্দেশে মুকুলকে ৮ নভেম্বর পর্যন্ত গ্রেফতার করা যাবে না বলে জানিয়ে দেন।  তবে তদন্তকারী অফিসার তাঁকে ডেকে পাঠালে হাজির হয়ে তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে মুকুলকে। তদন্তকারী অফিসারকে তলব করতে গেলে ৭২ ঘণ্টা আগে নোটিশ দিতে হবে বিজেপি নেতাকে। 

এদিন ছিল মামলার পরবর্তী শুনানির দিন। বিচারপতি শহিদুল্লা মুন্সির ডিভিশন বেঞ্চে মুকুলের আইনজীবী সন্দীপন গঙ্গোপাধ্য়ায় ও শুভাশিস দাশগুপ্ত বলেন, মুকুল রায়কে তদন্তকারী অফিসার যখনই ডেকে পাঠিয়েছেন, তিনি গেছেন। কিন্তু আগামী ২৫ নভেম্বর এ রাজ্যে তিন কেন্দ্রে উপনির্বাচন রয়েছে। বিজেপির তরফে তিন কেন্দ্রের আহ্বায়ক হিসেবে রয়েছেন মুকুল রায়। ফলে নির্বাচনের কাজে ব্যস্ত থাকায় এখন তিনি থানায় যেতে পারবেন না। তাই নির্বাচন মিটলে তাঁকে ফের যেন ডাকা হয় ৷ তখন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) কিশোর দত্তের কাছে ডিভিশন বেঞ্চ জানতে চায়, মুকুলকে ডাকলে তিনি কি হাজির হচ্ছেন? জবাবে এজি জানান, বর্তমানে এই মামলার তদন্ত করতে লালবাজার বিশেষ তদন্তকারী দল(সিট) গড়েছে। এর আগে মুকুলকে দুবার ডাকা হয়েছিল। তিনি হাজির হয়ে তদন্তে সহযোগিতা করেছেন।

Share this article
click me!