
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ থেকে সরছে একাধিক এসএসসি মামলা। আর এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই রহস্য ক্রমশ ঘনীভূত। কারণ এই সাহসী বিচারপতির একের পর এক রায়ে, চাপ বাড়ছে রাজ্যের। তাঁর নির্দেশেই এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ের চাকরি যাওয়া থেকে শুরু করে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে একের পর এক সিবিআই তলব করা হয়েছে। আর এই রায়গুলিই মমতার সরকারে চাপ বাড়িয়ে দিয়েছে। অপরদিকে, প্রকাশ্যে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তিনি ভয় পান না। এভাবে দিনের পর দিন অন্যায়, তিনি কিছু সহ্য করতে পারবেন না বলেও জানান। তারপর তো তার রায়ে গত কয়েক বছেরের বাংলার রাজনীতি ইতিহাসে এভাবে ভিত কাঁপেনি শাসকদলের। তবে এবার ঘনীভূত হল রহস্য। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ থেকে সরছে স্কুল সার্ভিস সংক্রান্ত, কলেজ, আপার প্রাইমারির যাবতীয় মামলা।
শুক্রবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ থেকে স্কুল সার্ভিস সংক্রান্ত একাধিক মামলা সরে গেল রাজশেখর মান্থার এজালেসে। সার্ভিস সংক্রান্ত, কলেজ, আপার প্রাইমারির যাবতীয় মামলা এবার থেকে শুনবেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা।অন্যদিকে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ শুনবে এবার প্রাইমারি ও শ্রম সংক্রান্ত মামলা। এছাড়া প্রাইমারি টেট মামলাও শুনবেন তিনি। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে একক বেঞ্চের সঙ্গে বদল হয়েছে আপিল বেঞ্চেও।এসএসসি, আপার প্রাইমারি মামলাগুলি এতদিন শুনতেন বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন। এবার থেকে আপিল বেঞ্চে এই মামলাগুলি শুনবেন সুব্রত তালুকদারে ডিভিশন বেঞ্চ।
আরও পড়ুন, বজ্রগর্ভ মেঘ সঞ্চারে প্রবল বর্ষণ দক্ষিণবঙ্গে ? ভিজবে কি কলকাতা
প্রসঙ্গত, এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে শিরোণামে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পরেশ অধিকারী। এসএসসি দুর্নীতির অভিযোগে হাইকোর্টের নির্দেশ সদ্য চাকরি হারিয়েছেন তার কন্যা অঙ্কিতা চৌধুরি। কোচবিহারের ইন্দিরা বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ছিলেন মেখলিগঞ্জের বিধায়ক তথা রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী। তিনি ৪৩ মাস চাকরি করেছেন। সম্প্রতি উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় নাম জড়ায় শিক্ষাদফতর প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর। অভিযোগ, মেধা তালিকায় না থেকেও মন্ত্রীর মেয়ে চাকরি পেয়ে গিয়েছেন। এনিয়ে ববিতা সরকার নামে এক পরীক্ষার্থী মামলা করেছিলেন। তারপর এই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশেই অঙ্কিতার চাকরি যায়। দিতে হবে তিনবছরের পুরো বেতন ফেরৎ।
ববিতার দাবি, তাঁর থেকে কম নাম্বার ছিল মন্ত্রীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর। তারপরেও নিয়োগপত্র হাতে পাননি ববিতা। অথচ ২০১৮ সালে মেখলিগঞ্জের একটি স্কুলে চাকরি পেয়ে যান অঙ্কিতা অধিকারী। সূত্রের খবর, তদন্তকারী আধিকারিকরা পরেশ অধিকারীর কন্য অঙ্কিতা অধিকারীর বিরুদ্ধে আরও তথ্য জোগাড় করতে চেয়েছেন।আর সেই ববিতা সরকারকেই তলব করে সিবিআই।