বিরোধীদের দাবি সত্য়ি হল। নারদাকাণ্ডে তাঁর টাকা নেওয়ার ফুটেজ যে সত্যি তা স্বীকার করে নিলেন তৃণমূলের সাংসদ কাকলী ঘোষ দস্তিদার। এদিন কাকলী বলেন, নারদা কাণ্ডের তাঁকে দেখানো ফুটেজ সত্য। তিনি ম্যাথু স্যামুয়াল থেকে টাকা নিয়েছেন। তবে সেই টাকা নির্বাচনের জন্য চাঁদা হিসাবে নিয়েছেন। সেই হিসেব সংক্রান্ত নথি তিনি নির্বাচন কমিশনকে জমা দিয়েছেন। তবে আর কী কী জমা দিয়েছেন, তা নিয়ে মুখ খোলেননি কাকলী।
এ বিষয়ে তৃণমূলের সাংসদ বলেন, অতীতেও বলেছি, এটা একটা ষড়যন্ত্র। যার মাধ্য়মে আমাকে ছাড়াও আরও অনেককে জড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন লড়তে সব রাজনৈতিক দলই চাঁদা নেয়। আমার প্রমাণ রয়েছে। আমিও চাঁদা দিয়ে সেই রিসিট দিয়েছি। কোর্টের যে নির্দেশ সেই নির্দেশ মেনে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করছি। তদন্তের পরেই সব সত্য়ি বেরিয়ে আসবে। শনিবার বারাসাত হাসপাতালে ব্লাড ব্যাঙ্কের নতুন ভবন উদ্বোধন করতে এসেছে এই স্বীকারোক্তি বারাসাতের সাংসদ কাকলী ঘোষদস্তিদারের।
সম্প্রতি নারদাকাণ্ডের তদন্তের জন্য লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে বিশেষ অনুমতি চায় সিবিআই। এরপরই এক এক করে শোভন চট্টোপাধ্যায়, অপরূপা পোদ্দার ,শুভেন্দু অধিকারী, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও সৌগত রায়, কাকলী ঘোষ দস্তিদার, সুব্রত মখার্জিদের ডাকে সিবিআই। গ্রেফতার করা হয়েছে আইপিএস অফিসার এসএইচএম মির্জাকে। বাদ যাননি বিজেপি নেতা মুকুল রায়ও। তাঁকেও শুক্রবারই তলব করে সিবিআই। শনিবার সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিয়েছেন মুকুল।