ক্রমশই জটিল হচ্ছে পরিস্থিতি। সকালেই জানা যায় নয়াবাদের এক বাসিন্দার দেহে করোনার ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে। বিকেল হতে না হতেই বিগড়ে যায় পরিস্থিতি। জানা গিয়েছে, সন্ধ্য়ের পর থেকে অক্সিজেনের মাত্রা কমতে থাকে আক্রান্তের শরীরে। বেগতিক দেখে তাঁকে আইসিসিইউতে পাঠানো হয়।
রোগীর ওপর প্রতি নজর রেখে চলেছেন ডাক্তাররা। নয়াবাদের ওই ব্যক্তির বয়স প্রায় ৬৬। আপাতত শ্বাস স্বাভাবিক করতে তাঁকে অক্সিজেন সাপোর্টে রাখা হয়েছে। এদিন সকালে তাঁকে নিয়ে রাজ্য়ে রাজ্য়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্য়া দাঁড়ায় ১০। যা নিয়ে চিন্তায় পড়ে যায় স্বাস্থ্য় দফতর। রোগীর কোনও বিদেশি সংযোগ না থাকায় আরও চিন্তায় পড়ে যায় চিকিৎসকরা।
জানা গিয়েছে,শ্বাসকষ্ট নিয়েই বাইপাসের ধারে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। ডাক্তারদের সন্দেহ হওয়াতে করোনা ভাইরাসের পরীক্ষা করা হয়। নাইসেডে করোনা পরীক্ষায় ওই ব্যক্তির রিপোর্ট পজিটিভ আসে । ইতিমধ্য়েই ওই ব্যক্তি য়াদের সংস্পর্শে এসেছেন, তাদেরও খোঁজ শুরু হয়েছে। পরিবারের লোককেও আইসোলেশনে ইতিমধ্যে পাঠানো হয়েছে।
সূত্রের খবর, ৬৬ বছরের ওই করোনা আক্রান্ত নয়াবাদ এলাকার বাসিন্দা। কদিন আগেই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় দমদমের এক বাসিন্দার। ৫৭ বছরের ওই ব্যক্তি করোনার সংক্রমণ থেকে সেরে উঠতে পারেননি। তাই প্রবীণ নাগরিক হওয়ায় এই আক্রান্তকে নিয়েও চিন্তায় স্বাস্থ্য় দফতর। ইতমধ্য়েই ওই ব্যক্তিকে হাইড্রোক্লোরাইড ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য় সংস্তার সমীক্ষা বলেছে, এখন পর্যন্ত ৭১ শতাংশ মানুষ এই ফর্মুলায় প্রাণ ফিরে পেয়েছেন।