দেশের সবথেকে নিরাপদ শহরের তকমা পেল কলকাতা। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর রিপোর্টে উঠে এসেছে এই তথ্য। দেশের ১৯টি শহরের অপরাধের পরিসংখ্য়ান ঘেঁটে এই তথ্য পেয়েছে এনসিআরবি। প্রতিযোগিতায় মেট্রো সিটিগুলোকেও পিছনে ফেলে দিয়েছে মহানগর।
গতবার প্রথম স্থানে ছিল কোয়েম্বাটোর। ২০১৭ সালের পরিসংখ্য়ানে নিরাপদ শহরের শিরোপা ছিনিয়ে নিল কলকাতা। প্রতি ১ লক্ষ মানুষের অপারাধের ওপর ভিত্তি করে এই তালিকা প্রস্তুত করেছে ন্য়াশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্য়ুরো। ২০১৬ সালে শহরে প্রতি ১ লক্ষ মানুষের মধ্যে অপরাধের সংখ্য়া ছিল ১৫৯.৬ । ২০১৭ সালে যা কমে দাঁড়িয়েছে ১৪১.২ তে। স্বাভাবিক ভাবেই এই পরিসংখ্য়ানই দেখিয়ে দেয় অপরাধ কমেছে শহরে। রাজ্যের নিরিখেও পশ্চিমবঙ্গে অপরাধের সংখ্যা কমেছে। গত বছর ২৯টি রাজ্যের অপরাধের নিরিখে রাজ্য ১৯ নম্বরে ছিল। এবার এক লাফে তা ১১ নম্বরে জায়গা করে নিয়েছে। অর্থাৎ কলকাতার সঙ্গে সঙ্গে অপরাধে কমেছে রাজ্যেও।
সারা দেশের অপরাধের গড়ে অনেক কম অপরাধ হয়েছে কলকাতায়। দেশের ১৯টি শহরের গড় অপরাধ যেখানে ৪৬২.২ শতাংশ সেখানে কলকাতায় অপরাধ ১৪১.২। এবার দেশের মধ্য়ে নিরাপদ শহরের তালিকায় কলকাতার পরে রয়েছে কোয়েম্বাটোর, হায়দরাবাদ, কোঝিকোড় ও মুম্বইয়ের নাম। পরিসংখ্য়ান বলছে, গত চার বছরে মহানগরে অপরাধের পরিসংখ্য়ন ৩১.৩ শতাংশ কমেছে।
মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের ক্ষেত্রে সংখ্য়া কমেছে কলকাতায়। এনসিআরবি রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৭ সালে মহানগরে ১৫টি ধর্ষণের মামলা দাখিল হয়েছে। মহিলাদের উত্তক্ত বা পিছু ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে ৫৩টি। যেখানে তুলনামূলক আলোচনায় নিরাপদ নয় দিল্লি। যেখানে মাত্র এক বছরে ১১৭০ টি ধর্ষণের মামলা দায়ের হয়েছে দিল্লিতে। মহিলাদের পিছু ধাওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে ৪৭২ টা। তবে কলকাতার গায়ে কালো তকমা লাগিয়েছে অ্য়াসিড হামলা। ২০১৭ সালে কলকাতায় একটি অ্যাসিড হামলার ঘটনা ঘটেছে।
কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা জানিয়েছেন, মহানগরে থানা ও পুলিশ কর্মীর সংখ্যা বৃদ্ধিতেই কলকাতাকে আরও নিরাপদ করা গেছে। সঙ্গে অপরাধ কমাতে উন্নত কারিগরিকে কাজে লাগিয়েছে কলকাতা পুলিশ। পুরোনো গতানুগতিক পুলিশি ব্যবস্থার পাশাপাশি বাড়ানো হয়েছে পুলিশ-পাবলিক সম্পর্ক। যার ফল স্বরূপ নিরাপদ শহরের তকমা পেয়েছে কলকাতা। আগামী দিনে মহানগরকে আরও নিরাপদ করে তুলতে কাজ করবে কলকাতা পুলিশ।