
বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ার (Social Media) যুগে সবকটি রাজনৈতিক দল ও নেতৃত্বরা খুবই সক্রিয় থাকেন। দল হোক বা ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট, সেখানে দলের নানা কর্মসূচি, কোনও ঘটনার সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়ে থাকে। বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) তার ব্যতিক্রম নয়। টিএমসির (TMC) সোশ্যাল মিডিয়া হ্য়ান্ডেল খুবই সক্রিয়। এমকনকী মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee) নিজের ট্য়ুইটার অ্যাকাউন্ট নিজেই ব্য়বহার করেন। কিন্তু সেই জায়গায় বিগত কয়েক দিনে রাজ্য তথা দেশ জুড়ে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলীর কোনও আপডেট নেই টিএমসির ফেসবুক অথবা ট্যুইটার অ্যাকাউন্টে। শেষ ৪ ফেব্রুয়ারি এই দুটি সোশ্যাল মিডিয়া মাধ্যম থেকে শেষ পোস্ট করা হয়েছিল। তারপর থেকে আর কিছুই হয়নি। ফলে কী কারণে হঠাৎ করে সোশ্য়াল মিডিয়ায় সক্রিয়তা কমে গেল তৃণমূল কংগ্রেসের তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
প্রশ্ন ওঠাটাই স্বাভাবিক। কারণ বাইরের কোনও ঘটনা বাদ দিলে বিগত কয়েত দিনে এমন কিছু টিমএসির দলীয় ঘোষণা বা কর্মসূচি হয়েছে যার আপডেটস সোশ্যাল মিডিয়ায় পেজে অবশ্য থাকা উচিৎ। তাদের মধ্যে অন্য়তম হল, রাজ্যে পুরসভা ভোট উপলক্ষ্যে দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছেন, সেই প্রার্থী তালিকায় মান্যতা দিয়েছেন দলেরহ সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। দলীয় স্তরেও হয়েছে একাধিক পরিবর্তন। উত্তর প্রদেশের ভোট প্রচারে অখিলেশ যাদবের হয়ে প্রচার করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একসঙ্গে সাংবাদিক বৈঠক করেছেনয তার কোনও ছবি, ভিডিও নেট মাধ্যনে শেয়াপ করা হয়নি। তাছাড়াও গোয়ায় শেষ মুহূর্তের প্রচারে গিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যারও কোনও আপডেট নেই। সোশ্য়াল মিডিয়া মাধ্যমে।
আরও পড়ুনঃশিলিগুড়িতে তৃণমূল বা বিজেপি ক্ষমতায় এলে মেয়র নিয়ে চলবে টানাপোড়েন, তোপ অশোকের
আরও পড়ুনঃরবিবার ৬ ঘণ্টা বন্ধ বিদ্যাসাগর সেতু, জেনে নিন কোন পথে হবে যান চলাচল
তৃণমূল কংগ্রেসের ট্য়ুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে যে শেষ ট্য়ুইট করা হয়েছিল সেটিও একটি প্রাকৃতির দুর্যোগের। ওই টুইটে মমতা অরুণাচলে তুষারঝড়ে মৃত সাত জওয়ানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। ফলে দলের অন্দরেও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে, কেন সোশ্যাল মাধ্যমে দলের এই নীরবতা। অনেকের দাবি, তৃণমূলের সোশ্যাল হ্যান্ডেলগুলি দেখাশোনা করতেন প্রশান্ত কিশোরের সংখ্য়া আইপ্য়াক। কিন্তু দলের একাংশের তা অপছন্দ ও সাম্প্রতিক সময়ে তৃণমূলের দূরত্ব কিছুটা বেড়েছে প্রশান্ত কিশোর ও তার সংস্থার। এছাড়াও অপর এক অংশের দাবি, দলের ত্রিপুরা ও গোয়ার অ্যাকাউন্ট সক্রিয় থাকলেও বাংলার অ্যাকাউন্ট নীরব থাকার পেছমে কোনও টেকনিক্যাল কারণও হতে পারে। সব মিলিয়ে কেনও দুল নেট মাধ্যমে চুপ, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন সমর্থকরা।