অভিজিৎ বিনায়ক বন্দোপাধ্য়ায়। চারপাশে যেন কান পাতলেই এই নামটা শোনা যাচ্ছে। এটা খুব স্বাভাবিক। এ এক বিরাট সাফল্য়। অর্মত্য় সেনের পরে দারিদ্র দূরীকরণ নিয়ে রিসার্চ করা নোবেল জয়ী বাঙালি তিনি। অর্থনীতিতে নোবেল জয়ী অমর্ত্য সেনের পরে মুকুটে নয়া পালক জুড়ল অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের। তিনি একাই নন, তার স্ত্রী এস্থের ডাফলোও নোবেল পেয়েছেন একই সঙ্গে। একজন দম্পতি হিসেবে একটা মাইল ফলকে পৌঁছনো তো বটেই ঠিক ততটাই বড় প্রাপ্তির।
ইতিমধ্য়েই তাকে নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে সোশ্য়াল মিডিয়ায়। যে যেভাবে পারছে তাকে নিয়ে জয়জয়কার করছে। কেউ বলছে বাঙালিয়ানার জয় তো কেউ বলছে কলকাতার, এই নিয়েই মেতে রয়েছে গোটা নেটদুনিয়া। ২২ অক্টোবর দেশে ফিরছেন কলকাতার ভূমিপূত্র। কলকাতার ফেরার আগে বিভিন্ন পরিকল্পনা রয়েছে তার। যেমন, দিল্লির বাড়িতে মা এবং ভাই -এর সঙ্গে সময় কাটানোর প্ল্য়ান রয়েছে অভিজিৎ-এর।
আরও একটি বিশেষ সাক্ষাৎকারে জানা গিয়েছে অভিজিৎ-এর ভাই অনিরুদ্ধ ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায় তাকে শুভেচ্ছা বার্তা জানিয়েছেন। আলাপচারিতায় এও বোঝা গিয়েছে দু'জনের মধ্য়েকার সম্পর্কও বেশ ভাল। তিনি আরও জানিয়েছেন, দাদাই আমার প্রিয় বন্ধু। আমরা কখনওই সিরিয়াসভাবে কোনও কিছু না নেওয়ার চুক্তি করেছি, তবে জীবন যখন নিজেদের পছন্দগুলিকে গ্রহণ করে, তা সত্য়িই অবাক করে দেয়।
এ সবের বাইরেও আর কি কি অভিজিতের পছন্দের তালিকায় রয়েছে তাও তিনি জানিয়েছেন। খেলাধূলাতেও আগ্রহ রয়েছে তার। টেনিস খেলার পাশাপাশি রান্নাতেও গভীর মনযোগ ছিল তার। ২০০-র বেশি রেসিপি রয়েছে তার ঝুলিতে। এমনকী মাও তাকে উৎসাহ দিত রান্নাতে। রান্নার পাশাপাশি খেতেও খুব ভালবাসে অভিজিৎ। এর পাশাপাশি ষাটের, সত্তরের দশকের গান শোনা এবং বিভিন্ন জ্য়রের সিনেমা দেখতেও তার গভীর আগ্রহ রয়েছে।কাজের পাশাপাশি পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতেও ভালবাসে অভিজিৎ। বছরে তিনবার ঘোরা কিন্তু মাস্ট। সপরিবারে শেষবার গেছিল টার্কিতে। আগামী বছরের শুরুতে ফুকেত যাওয়ার একটা প্ল্য়ানও ইতিমধ্যেই তৈরি। এবার শুধু যাবার অপেক্ষা।