পার্কসার্কাসে এটিএম কার্ডের ক্লোনিং চক্রের পর্দা ফাঁস, সতর্ক করল কলকাতা পুলিশ

  • এক্ষেত্রে অপরাধীরা সঙ্গে রাখেন ছোট্ট স্কিমার 
  • চোখের আড়াল হলেই ক্লোনিং, এটিএম কার্ড 
  • পরে তথ্য় ব্য়বহার করে  টাকা নেয় অপরাধীরা 
  • এই ঘটনায় পুলিশ গ্রেফতার করেছে দুজনকে 

Ritam Talukder | Published : Jan 18, 2020 8:19 AM IST / Updated: Jan 19 2020, 09:15 AM IST


ক্রেতাদের হামেশাই দাড় করিয়ে রেখে বিল মেটানোর জন্য় ডেবিট অথবা ক্রেডিট কার্ড নিয়ে খুব সামান্য় সময়ের জন্য় চোখের আড়াল করলেই তারপরেই খেলা শেষ। মূলত   যারা এই অপরাধের সঙ্গে যুক্ত তারা হাতের মধ্য়ে রাখেন ছোট্ট স্কিমার। আর তার সাহায্য়েই ওই কার্ডের ছবি তুলে নেওয়া হয়।  পরে, কার্ডে গ্রাহকের নাম, এক্সপেয়ারি ডেট এবং নাম্বার ব্য়বহার করে সব টাকা তুলে নেয় অপরাধীরা। আর এবার খাস কলকাতার বুকে রেস্তোরা থেকে অপরাধীর সন্ধান পেলেন পুলিশ।  পার্কসার্কাসের একটি রেস্তোরাঁ থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন, অনুপ্রবেশ রাজ্য়ের সমস্য়া, মানলেন সাহিত্য়িক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়

পুলিশি সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতরা পূর্ব কলকাতার তিলজলা এলাকায় ঘাঁটি বানিয়ে এই কাজ করত। গত আট মাসে এই স্কিমারের সাহায্যে দেশের তিন শহরের বিভিন্ন হোটেলের খদ্দেরদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় দশ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে অভিযুক্তরা। সম্প্রতি কলকাতা পুলিশের কাছে এই ধরনের চারটি জালিয়াতির মামলা দায়ের হয়। সেই সূত্র ধরে তদন্ত করতে গিয়ে গোয়েন্দারা জানতে পারেন, কখনও শিলিগুড়ি, কখনও কার্শিয়াং, আবার কখনও বিহারের কোনও এটিএম থেকে তোলা হচ্ছে এই টাকা।

আরও পড়ুন, দিনে শীত উধাও হবে কলকাতায়, উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা
 
এরপরই গত বৃহস্পতিবার দার্জিলিং মেলে ওঠার আগেই লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের ব্যাঙ্ক জালিয়াতি দমন শাখার আধিকারিকরা তাদের হাতেনাতে ধরে ফেলেন। ধৃতদের ল্যাপটপ থেকে উদ্ধার করা হয়  প্রায় ৩০০টি এটিএমের তথ্য উদ্ধার হয়েছে। এছাড়াও ৩৮টি নকল এটিএম কার্ড, স্কিমার, রাইটার যন্ত্রও গোয়েন্দারা উদ্ধার করেছেন। ধৃতরা পুলিশি জেরার মুখে ভেঙে পড়ে রেস্তরাঁর বিষয়টি জানায়। বিগত আটমাসে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা গায়েব করেছেন ধৃতরা। পাশাপাশি ওয়েটারদেরও দিয়েছেন মোটা টাকার কমিশন।

পুলিশ জানিয়েছে, বন্ধুদের মাধ্যমেই এই তিন শহরের বেশ কয়েকটি হোটেলের ওয়েটারদের সঙ্গে যোগাযোগ করে এই এটিএম কার্ড জালিয়াতির চক্রের দুই মাথা। ৬ হাজার টাকা দিয়ে তারা ওই স্কিমার যন্ত্রটি জোগাড় করে এবং এরপরই শুরু হয় প্রতারণা। ইতিমধ্যেই পুলিশের নজরে পার্ক সাকার্সের এক নামী রেস্তঁরার কর্মচারী। এছাড়া একাধিক নামী রেস্তেরাঁতেও এই কাণ্ড ঘটেছে, মত পুলিশ আধিকারিকদের।

Share this article
click me!