শহরে ফের প্রতারণাকাণ্ডে পুলিশের জালে সফটওয়্যার আর্কিটেক্ট। অভিযুক্ত গৌতম কুইলাকে গ্রেফতার করল বিধাননগর থানার পুলিশ ।
শহরে ফের প্রতারণাকাণ্ডে (Fraud Case) পুলিশের জালে অভিযুক্ত। আন্তর্জতিক আইটি সংস্থার মালিকের ২ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার সফটওয়্যার আর্কিটেক্ট । অভিযুক্ত গৌতম কুইলাকে গ্রেফতার করল বিধাননগর থানার পুলিশ (Bidhannagar Police) ।
পুলিশ সূত্রে খবর, উইজ ডিজিট্যাল সার্ভিসে নামের আন্তর্জাতিক স্তরের একটি সফটওয়্যার ডেভলপমেন্ট সংস্থার কর্ণধার জিশান বসু ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানায় অভিযোগ করেন। তাঁর সংস্থার কলকাতার অফিসের কর্মী গৌতম কুইলা এবং ইউকে-র সংস্থার কর্মী সান্তনু পাল ও বৈভব কুমার বেশ কিছুদিন ধরেই তার সংস্থার থেকে বিভিন্ন ভাবে টাকা তছরুপ করছেন। এছাড়াও বিদেশি নাগরিকদের কাছে তাঁর সংস্থার নাম করে সফটওয়্যার ডেভলপমেন্টের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণা করত। পুলিশ সূত্রে খবর, জিশান বসু মোট ২ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন এই তিন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। ঘটনার তদন্ত শুরু করে সোমাবর অভিযুক্ত গৌতম কুইলাকে গ্রেফতার করে বিধাননগর ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার পুলিশ। বাকি দুই অভিযুক্ত পলাতক। মঙ্গলবার অভিযুক্তকে বিধাননগর আদালতে তোলা হয়। এই সংস্থার নাম করে এই অভিযুক্তরা আরও কোনও ব্যক্তির থেকে প্রতারণা করেছে কিনা বা এদের সঙ্গে আর কারা জড়িত আছে সেই বিষয়ে তদন্ত করে দেখছে ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন, Haldia Refinery Accident: আগুন ছিটকে ভয়াবহ দুর্ঘটনা হলদিয়া রিফাইনারিতে, মৃত ৩, আহত ৪০
প্রসঙ্গত, চলতি বছরে একের পর এক প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে। কোনটা ছেড়ে কোনটায় নজর দেবে সাধারণ মানুষ। সতর্ক থেকেও অনেকসময় কাজ হচ্ছে না। প্রতিবারই নতুন কোনও উপায় বার করে নিয়ে আসছে অপরাধীরা। কোনও টেকনিক্যাল স্কিল খাটাচ্ছেন , আবার কখনও বা অনলাইন শপিংয়ের নামে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা উধাও হয়ে যাচ্ছে। চলছি বছরের শুরু থেকেই একাধিক অনলাইন ক্রাইমের ঘটনা ঘটেছে। তবে সাম্প্রতিক কালের ঘটনা গুলির মধ্যে অন্যতম কয়েকদিন আগেই ফার্নিচার দেখানোর নামে টাকা তছরুপের ঘটনা ঘটেছে শহরে। পাশাপাশি লোন দেওয়ার নামেও সর্বশান্ত করার ঘটনাও ঘটেছে সল্টলেকে।ঘটনাটি ঘটেছে বিধানগরের উ্ততর থানা এলাকায়। যেখানে ঘর ভাড়া নিয়ে রীতিমত রমরমিয়ে প্রতারণার ব্যবসা চালাচ্ছিলেন প্রতারকরা। এরপর নতুন শিকারের আশায় এই প্রতারকরা বহু প্রচারিত দৈনিক খবরে কাগজেও বিজ্ঞাপণ দেয়। আর যাথারীতি সেই ফাঁদে পা দেয় আরও অনেকে। অনেকেই ইতিমধ্যেই সর্ব শান্ত হয়েছে। এরপরেই একজন অভিযোগ দায়ের করেন বিধাননগর উত্তর থানায়। তারপরেই অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে বিধাননগর থানার পুলিশ।