সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছে আগেই। এবার ডাবল সেঞ্চুরির পথে পেঁয়াজের দাম। পাইকারি বাজারেই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে। খুচরো বাজারে দাম কেজিতে ১৪০ টাকাও ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। পেঁয়াজ বিক্রেতাদের সঙ্গে ক্রেতাদের বচসা, এমনকী হাতাহাতির ঘটনাও ঘটছে বাজারে। পরিস্থিতি এমনই জায়গায় পৌঁছেছে যে, কলকাতার পাঁচটি বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি বন্ধও হয়ে যেতে পারে বলে জানা গিয়েছে। কারণ, ব্যবসায়ীরাই আর পেঁয়াজ বিক্রি করতে চাইছেন না!
মহারাষ্ট্রের নাসিক থেকেই এ রাজ্যের সিংহভাগ পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। কিন্তু এখন নাসিক থেকে পেঁয়াজ আসা কার্যত বন্ধ। বৃহস্পতিবার বাইরে থেকে পেঁয়াজ ভর্তি ছয়টি ট্রাক এসেছে বড়বাজারের পোস্তায়। রাজস্থান থেকে তিনটি ট্রাক এসেছে, আর বাকী তিনটি এসেছে দক্ষিণ ভারত থেকে। তবে দক্ষিণ ভারতেও এখন পেঁয়াজ এখন রীতিমতো মহার্ঘ্য। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার দক্ষিণ ভারতে বস্তা প্রতি পেঁয়াজের দর ছয় হাজার টাকা! বুধবার দাম ছিল চার হাজার টাকা। বড়বাজারের পোস্তায় বৃহস্পতিবার পেঁয়াজ দাম উঠেছে ১৪০ টাকা কেজি। হুগলির বিভিন্ন বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা কিলো দরে। শেওড়াফুলিতে আবার পেঁয়াজের দাম আরও চড়া। পাইকারী বাজার থেকে এক কেজি পেঁয়াজ কিনতে গেলে, আপনাকে খরচ করতে হবে ১৪০ টাকা।
আরও পড়ুন - পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে উত্তাল সংসদ, আগুনে ঘি ঢাললেন অর্থমন্ত্রী
এই অগ্নিমূল্যের বাজারে সুফল বাংলা স্টল থেকে সস্তায় পেঁয়াজ বিক্রির ব্যবস্থা করেছে রাজ্য সরকার। তবে পেঁয়াজ কেনার জন্য লাইন দিতে হচ্ছে এক ঘণ্টা। তবে তাতেও রক্ষে নেই! বৃহস্পতিবার সকালে সুফল বাংলার স্টল থেকে লুট হয়ে গিয়েছে ২০ কেজি পেঁয়াজ। এদিকে স্পেফ ক্রেতাদের সঙ্গে ঝামেলা এড়াতে কলকাতার কাঁকুড়গাছি ভিআইপি বাজার, বাস্তুহারা পাইকারি বাজার, মানিকতলা বাজার, বেলেঘাটা সরকার বাজার ও রাসমনি বাজারে ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ বিক্রি বন্ধ করে দিতে পারেন বলে খবর।