সংক্ষিপ্ত
- সরকার পেঁয়াজের দাম কমবে আশ্বাস দিচ্ছে
- দিনকে দিন অবশ্য দাম বেড়েই চলেছে
- এই নিয়ে বৃহস্পতিবার উত্তাল হল সংসদ
- অসংবেদী মন্তব্যে সেই আগুনে ঘি ঢাললেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী
বারবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা বলে যাচ্ছেন, ক'দিন পরই পেঁয়াজের দাম কমবে। কিন্তু দিনকে দিন দাম বেড়েই চলেছে। সেঞ্চুরি হয়ে গিয়েছিল আগেই, এবার ডবল সেঞ্চুরি হাঁকাতে চলেছে পেঁয়াজ। যা নিয়ে বৃহস্পতিবার বিতর্কে উত্তাল হল সংসদ। মূল্যবৃদ্ধিতে লাগাম লাগাতে কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে তীব্র সংসদ ভবনের মধ্য়েই প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেন কংগ্রেস ও অন্যান্য বিরোধী দলগুলি। সেই আগুনে ঘি ঢালেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ।
১০৬ দিন পর তিহার জেল থেকে মুক্ত হয়ে এদিনই চলতি অধিবেশনে প্রথমবার প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম আসেন সংসদে। আর এসেই পেঁয়াজের দাম বাড়া নিয়ে প্রতিবাদে সামিল হলেন। তিনি ছাড়া অধীর চৌধুরি, গৌরব গগৈ প্রমুখ কংগ্রেস নেতারাও বাক্স ভর্তি পেঁয়াজ নিয়ে প্রতিবাদে সংসদ চত্ত্বরে প্রতিবাদে নামেন।
আরও পড়ুন - ডাবল সেঞ্চুরির পথে পেঁয়াজ, কলকাতার পাঁচটি বাজারে বন্ধ হতে পারে বিক্রি
তার আগে অবশ্য পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি বিতর্কে ঘি ঢেলেছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্নমলা সীতারমণ। সংসদে এই নিয়ে বিতর্কের উত্থাপন করেন এনসিপি নেত্রী সুপ্রিয়া সুলে। তিনি প্রশ্ন করেন, পেঁয়াজের উৎপাদন কেন কমছে? তিনি বলেন, পেঁয়াজ-চাষীরা ক্ষুদ্র চাষী। তাই তাঁদের পাশে থাকতে হবে।
এরপরই জবাব দিতে গিয়ে প্রথমেই নির্মলা সীতারমণ অত্যন্ত অসংবেদনশীলের মতো একটি মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, তাঁর পরিবার পেঁয়াজখেকো নয়। তিনি নিজেও খুব একটা পেঁয়াজ-রসুন খান না। তাঁর এই কথার পরই গোলমাল বেধে যায় সংসদে। পরে অবশ্য নির্মলা সীতারমণ জানান, সরকারের পক্ষ থেকে পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধিতে লাগাম লাগাতে অনেক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে পেঁয়াজের মতো আনাজ সংরক্ষণের জন্য প্রযুক্তির উন্নয়ন ঘটানোরও চেষ্টা করা হচ্ছে।