এসএসসি (স্কুল সার্ভিস কমিশন) দুর্নীতি মামলায় পার্থ-অর্পিতার বিরুদ্ধে ৫৮ দিনের মাথায় চার্জ শিট পেশ করতে চলেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সোমবারই ইডির বিশেষ আদালতে পেশ করা হতে পারে চার্জশিট পেশ করা হবে। ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে চার্জশিটে নাম থাকছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তার ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায় সহ আরও কয়েকজনের।
এবার পার্থ-অর্পিতার মালিকানাধীন সম্পত্তির হদিশ পেতে তাইল্যান্ডে খোঁজসূখবর চালাচ্ছে ইডি। আদালতে পেশ করা ইডির চার্জশিটে উঠে এসে পার্থ-অর্পিতা সম্পর্কে একাধিক অপ্রকাশিত তথ্য। উঠে এসেছে স্নেহময় দত্ত নামে এক ব্যক্তির নাম। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই জানা গিয়েছে তাইল্যান্ড সফরে গিয়েছিলেন পার্থ-অর্পিতা। শুধু তাইল্যান্ড নয় গোয়া ভ্রমণেও গিয়েছিলেন তাঁরা, এমনটাই দাবি করছে ইডি। উল্লেখ্য 'অপা'-এর এই সফরে সঙ্গী ছিলেন স্নেহময়ও। এবার প্রশ্ন তবে কি তাইল্যান্ডেও কোনও সম্পত্তি রয়েছে পার্থ-অর্পিতা জুটির? সূত্রের খবর এই বিষয় খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে ইডির তরফে। যদিও জেরায় পার্থ জানিয়েছেন তাইল্যান্ডে তাঁর কোনও সম্পত্তি নেই।
প্রসঙ্গত, এসএসসি (স্কুল সার্ভিস কমিশন) দুর্নীতি মামলায় পার্থ-অর্পিতার বিরুদ্ধে ৫৮ দিনের মাথায় চার্জ শিট পেশ করতে চলেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সোমবারই ইডির বিশেষ আদালতে পেশ করা হতে পারে চার্জশিট পেশ করা হবে। ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে চার্জশিটে নাম থাকছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তার ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায় সহ আরও কয়েকজনের।
আরও পড়ুন - ফের সিবিআই-এর আতশকাচের নীচে পার্থ-ঘনিষ্ট, মোনালিসা দাসের দাদা মানস দাসের নামে একাধিক সম্পত্তির হদিশ
গত শুক্রবারই সিবিআই হেফাজতে নেওয়া হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। আইন অনুযায়ী ৬০ দিনের মধ্যে চার্জশিট না পেশ করতে পারলে জামিন পেতে পারেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কার্যত সেই আশঙ্কা থেকেই প্রাক্তন মন্ত্রীকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছিল সিবিআই। তাদের দাবি, নিয়োগ দুর্নীতি মামলার মূল হোতা ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ই। তাই তাঁকে হেফাজতে নেওয়া প্রয়োজন।
আরও পড়ুন - 'পার্থ-অনুব্রত দলের পচে যাওয়া অংশ', জহর সরকারের মন্তব্যে অস্বস্তি বাড়ছে ঘাসফুল শিবিরে
এর আগেও জামিনের জন্য আর্জি জানিয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পার্থর আইনজীবীর পক্ষ থেকে এদিন আদালতের কাছে 'যে কোনও মূল্যে' জামিন মঞ্জুর করার দাবি রাখা হল। এমনকী নিজ বাসভবনে নজরবন্দি থাকতেও রাজি তিনি। তবু যে কোনও শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি চান পার্থ। প্রাক্তন মন্ত্রীর তরফে জানানো হয়েছে, পার্থর একাধিক শারীরিক সমস্যা রয়েছে। তার জন্য দিনে মোট ১৭টি ওষুধ খেতে হয় তাঁকে। পার্থর রক্তাল্পতাজনিত সমস্যা আছে, তা ছাড়া হিমোগ্লোবিন কম, ক্রিয়েটিনিনের পরিমাণ বেশি ইত্যাদি সমস্যার পাশাপাশি শ্বাসকষ্ট ও শিরদাঁড়াতেও সমস্যা আছে বলে আদালতকে জানিয়েছেন পার্থর আইনজীবী। তাই তাঁর শারীরিক অবস্থার কথা মাথায় রেখে জামিনের আর্জি জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন - 'বাড়িতে নজরবন্দি থাকতেও রাজি', আদালতের কাছে 'যে কোনও শর্ত সাপেক্ষে' জামিনের আবেদন পার্থর