'মানুষের রায় নেবার জন্য তৈরি', চন্দননগরের পুরনিগমে নির্বাচনের আগে জানালেন প্রাক্তন মেয়র রাম চক্রবর্তী। উল্লেখ্য, এই রাম চক্রবর্তীকেই মাথায় রেখে চন্দননগরে বোর্ড গড়ে ছিল তৃণমূল।
'মানুষের রায় নেবার জন্য তৈরি', চন্দননগরের পুরনিগমে নির্বাচনের আগে জানালেন প্রাক্তন মেয়র রাম চক্রবর্তী ( Former Mayor Ram Chakroborty )। উল্লেখ্য, এই রাম চক্রবর্তীকেই মাথায় রেখে চন্দননগরে বোর্ড গড়ে ছিল তৃণমূল। ২০১৫ সালে দ্বিতীয় বারের জন্য চন্দননগর কর্পোরেশনের মেয়র হয়েছিলেন রাম চক্রবর্তী। কিন্তু ৩ বছরের মধ্যে দলীয় কোন্দলের জেরে ওই নির্বাচিত বোর্ড ভেঙে পুরনিগমে এডমিনিষ্ট্রেটর বসিয়ে দেয় রাজ্যে সরকার। তবে এবার ফের নির্বাচনের আগে সাজোসাজো রব চন্দননগরে (Chandannagar)।
২২ জানুয়ারী চন্দননগর পুরনিগমে নির্বাচন হতে চলেছে। এদিন নির্বাচন কমিশন ঘোষণাও করে দিয়েছে।আর এই ঘোষণার পরই সেই রাম চক্রবর্তী জানান, তাঁরা তৈরি নির্বাচনের জন্য। তিনি বলেন, 'আমরা মানুষের রায় নেবার জন্য তৈরি। চন্দননগরের মানুষও তাঁদের রায় দেবার জন্য তৈরি।' রাম আরও জানান , 'চন্দননগরের যে সমস্ত উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে, তাতে এখানকার মানুষ খুশি। তাঁরা তাঁদের রায় দেওয়ার অপেক্ষায় আছেন।' উল্লেখ্য, হুগলীর জেলার একটি মাত্র পুরনিগম হল এই চন্দননগর। চন্দননগর পুরনিগমে মোট আসন সংখ্যা ৩৩টি। একদা বামেদের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এই পুরনিগম ২০১০ সালে তৃণমূল দখল করে। ২০১৫সালে দ্বিতীয়বার দখল করার পর শুরু থেকেই গোষ্ঠীকোন্দল নিয়ে চাপানউতোর শুরু হয় পুরনিগমে। দুবছরের মধ্যেই পুরনিগমের বোর্ড ভেঙে দেয় রাজ্য সরকার। তারপর থেকে এবারই প্রথম নির্বাচন হবে এই পুরনিগমে।
স্বাভাবিকভাবেই সকলের নজর রয়েছে চন্দননগর পুরনিগমের নির্বাচনে। গত নির্বাচনে ৩৩ টা আসনের মধ্যে ২৩ টা পেয়েছিল তৃণমূল বাকি ১০ টার মধ্যে ৯ টি আসন পেয়ে প্রধান বিরোধী দল হিসেবে চিহ্নিত হয় সিপিএম। ১ টি আসন পায় বিজেপি। বিরোধী দলনেতা হন প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র সিপিএমের আইনজীবী নেতা রমেশ তেওয়ারী। এদিন চন্দননগর আদালতে বসে রমেশ তেওয়ারী জানিয়েছেন, তাঁরাও তাকিয়ে আছেন এই নির্বাচনের দিকে। 'কারণ ২০১৫-র নির্বাচনে বিপুলভাবে তৃণমূল জেতার পরও নিজেরাই ১৮ সালে দলাদলি করে বোর্ড ভেঙে দেয়। মানুষ তার পরিষেবা ঠিক মতো পায়নি। চন্দননগরের যা কিছু উন্নয়ন সব বাম আমলেই। তৃণমূল আমলে কিছুই হয়নি', বলেই বার্তা রমেশের।প্রসঙ্গত, হাইকোর্টে রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, মোট দুই দফায় ভোট করানো সম্ভব। ২২ জানুয়ারি প্রথম দফায় ভোট হবে। দ্বিতীয় দফায় আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি হবে ভোট। প্রথম দফাতেই চন্দননগরের ভোট হবে। দ্বিতীয় বাকি সকল পুরভোট করার পরিকল্পনা রয়েছে।