চারটি পুর-নিগমের নির্বাচনের জন্য প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করে দিল ঘাসফুল শিবির। তা নিয়েই বর্তমানে জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলের অন্দরে।
কলকাতা পুরভোটের(Kolkata Municipal Election) পালা সাঙ্গ হতেই এবার রাজ্যের অন্যান্য পজেলা গুলিতেও বেজে উঠেছে পুরভোটের দামামা। এদিকে কলকাতার(Kolkata) মতো অন্যান্য পুরসভাগুলিতেও তৃণমূলের(TMC) ফেরার ইঙ্গিত থাকলেও শেষ মুহূর্তের প্রচার বা প্রস্তুতি কোনও কিছুতেই এক বিন্দু ফাঁক রাখতে রাজি নয় শাসক দল। এমতাবস্থায় এবার চারটি পুর-নিগমের নির্বাচনের জন্য প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করে দিল ঘাসফুল শিবির(Trinamool-Congress)। তা নিয়েই বর্তমানে জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলের অন্দরে।
এদিকে যে ৪টি পুরসভায় ভোট(Municipality) হওয়ার কথা রয়েছে তার মধ্যে প্রতিটাই ভিন্ন ভিন্ন জেলায়। তাই প্রতিক্ষেত্রেই প্রস্তুতিতে রয়েছে ভিন্নতা। সূত্রের খবর, সংশ্লিষ্ট জেলায় খসড়া প্রার্থী তালিকা তৈরি হয়েছে। তবে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায়(Trinamool supremo Mamata Banerjee)। এদিকে মঙ্গলবার প্রশাসনিক সফরে গঙ্গাসাগর যাওয়ার কথা রয়েছে মমতার। সেখান থেকে ফিরেই বসবেন পুরভোট সংক্রান্ত বৈঠকে। দলীয় সূত্রে খবর, শুক্রবারের আগে পুরভোট সংক্রান্ত বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা কম । শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী ২০২২ সালের ২২ জানুয়ারি হাওড়া, বিধাননগর, শিলিগুড়ি, আসানসোল ও চন্দননগরে(Howrah, Bidhannagar, Siliguri, Asansol and Chandannagar) পৌরসভা নির্বাচন হবে। ২৭ ফেব্রুয়ারি ভোট হবে বাকি পৌরসভাগুলিতে।
আরও পড়ুন- ভেঙেছে অতীতের সব রেকর্ড, বারেবারেই বঙ্গ রাজনীতির চর্চায় রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত
আরও সহজ করে বললে মেদিনীপুর, খড়গপুর, ঘাটাল, ক্ষীরপাই, কাঁথি, ঝাড়গ্রাম সহ দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম প্রভৃতি জেলার পৌরসভাগুলিতে নির্বাচন হতে চলেছে ২৭ ফেব্রুয়ারি। তবে, এই নিয়ে ২৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় রাজরের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। বিধাননগর সহ ৪ পুরসভায় ভোটের দিন ঘোষণা করে বিজ্ঞপ্তি জারি করতে দেখা গিয়েছে নির্বাচন কমিশনকেও। মঙ্গলবার থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া। ভোট গণনা হতে চলেছে আগামী ২৫ জানুয়ারি। আর তারপর থেকেই পুরদমে প্রচার পর্ব শুরু হয়ে গিয়ছে জেলায় জেলায়। এদিকে গঙ্গাসাগর থেকে ফেরার পর পুরভোট নিয়ে মমতার বৈঠকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়েরও থাকার কথা রয়েছে। তবে তিনি বর্তমানে রয়েছে বাইরে। তাই আগামী দুদিনে বৈঠক নিয়ে জল্পনা থাকলেও আপাতত তা হচ্ছে না। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেই শেষ হওয়া পুরভোটে বিপুল ভোটে ক্ষমতায় ফিরেছে তৃণমূল-কংগ্রেস। ১৪৪টির মধ্যে ১৩৪টি আসনে জিতেছে ঘাসফুল শিবির। অন্যদিকে বিজেপির খাতায় এসেছে মাত্র ৩টি আসন। অন্যদিকে বামেরা পেয়েছে ২টি ও কংগ্রেসও পেয়েছে ২টি আসন। নির্দলদের দখলে এসেছে ৩টি।