ভূতেদের অস্তিত্ব নিয়ে কথা বলার অভিযোগে জনপ্রিয় শো দাদাগিরির বিরুদ্ধে মামলা হল কলকাতা হাইকোর্টে। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঞ্চালনায় এই অনুষ্ঠানের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছে পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ। তাদের দাবি, এই ধরনের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অবৈজ্ঞানিক ভিত্তিকে বিজ্ঞান বলে চালানোর চেষ্টা করা হয়েছে। যা দেশের সংবিধান বিরোধী।
কদিন আগেই দাদাগিরির মঞ্চে এক যুবতী দাবি করেন, বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রের মাধ্যমে অশরীরীদের অস্তিত্বের সন্ধান করেন তিনি। নিজেকে প্যারানরমাল ইনভেস্টগেটর বলেই দাবি করেন ওই যুবতী। জি বাংলার মঞ্চে ভূতেদের নিয়ে তাঁর অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন ওই প্রতিযোগী। যুবতীর মুখে ভূতের কথা শুনে অশরীরী নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলেন মহারাজও। যা নিয়ে আপত্তি তুলেছে পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ।
তাদের অভিযোগ,বাংলা টেলিভশন জগতের জনপ্রিয় মঞ্চে অবৈজ্ঞানিকভাবে আতঙ্ক ছড়ানো হচ্ছে। যার বিরুদ্ধে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে বিজ্ঞান মঞ্চ। তবে আদালতের দ্বারস্থ হয়েই থেমে থাকেনি বিজ্ঞান মঞ্চ। একেবারে বিবৃতি জারি করে জি-এর এই শোয়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে তারা। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, একটি জনপ্রিয় অনুষ্ঠান থেকে এভাবে অলৌকিক বিষয়কে বিশ্বাসযোগ্য করে তোলার চেষ্টার তীব্র বিরোধিতা করেছে পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ।
এই কাজ অবৈজ্ঞানিক এবং সংবিধান বিরোধী। বিজ্ঞান মঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে, ভারতীয় সংবিধানের ৫১ এ এইচ ধারা লঙ্ঘন করেছে দাদাগিরির ওই প্রতিযোগীর ভূমিকা। যেখানে বলা হয়েছে, ৫১ এ এইচ ধারা দেশবাসীর মধ্যে বিজ্ঞানমনস্কতা ও যুক্তিবোধ তৈরির কথা বলে। দাদাগিরির অনুষ্ঠানে য়ুক্তির উল্টে পথে হেঁটেছেন অনুষ্ঠানের উদ্য়োক্তারা। তাই আদালতের দ্বারস্থ হতে বাধ্য হয়েছে বিজ্ঞান মঞ্চ। যুগ যুগ ধরে ভূতেদের অস্তিত্ব নিয়ে চর্চা হয়ে এসেছে। ভূতের দেখা না পেলেও জীবনে অশরীরী আতঙ্কের অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন বহু মানুষ। যদিও বাস্তবে ভূতেদের অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজ্ঞানমনস্ক মানুষজন। তাঁদের কাছে ভূত শব্দের অর্থ কেবলই অতীত। যদিও কলকাতা হাইকোর্টে মামলার পর ভূতেদের ভবিষ্যৎ এবার বিচারপতির হাতে।