হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা ভিক্ষা রোগীর, ফেরাল ইএসআই হাসপাতাল

arka deb |  
Published : Jun 12, 2019, 04:10 PM ISTUpdated : Jun 12, 2019, 06:15 PM IST
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা ভিক্ষা রোগীর, ফেরাল ইএসআই হাসপাতাল

সংক্ষিপ্ত

কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন গোটা রাজ্যের চিকিৎসকরা এর জেরে গোটা রাজ্যেই প্রায় বেহাল চিকিৎসা ব্যবস্থা এবার এই ঘটনারই আঁচ পড়ল ঠাকুরপুকুর জোকা ইএসআই হাসপাতালে

নীলরতন সরকার হাসপাতাালের চিকিৎসক নিগ্রহের ঘটনায় কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন গোটা রাজ্যের চিকিৎসকরা। এর জেরে গোটা রাজ্যেই প্রায় বেহাল চিকিৎসা ব্যবস্থা। এবার এই ঘটনারই আঁচ পড়ল ঠাকুরপুকুর জোকা ইএসআই হাসপাতালে। 

জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির ফলে সকাল থেকে ইমারজেন্সি-সহ আউটডোর সব পরিষেবা বন্ধ ঠাকুরপুকুর ইএসআই হাসপাতালে। বন্ধ কেমোথেরাপির মতো জরুরি পরিষেবার। এদিন সকালে এক রোগীকে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ায় তড়িঘড়ি তাঁর পরিজনেরা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে আসেন। অভিযোগ, বুকে যন্ত্রণা নিয়ে হাসপাতালের এমার্জেন্সি বিভাগের দরজার সামনে বসে থেকেও কোনও সুরাহা হয়নি। কোনও ডাক্তার বা জুনিয়র ডাক্তার এগিয়ে আসেননি পরিষেবা দিতে। জুনিয়র ডাক্তারদের কাছে হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীরা যান অনুরোধ করতে যাতে এই মহিলাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তবুও কোনও সুরাহা হয়নি। এরই মধ্যে কেমো দিতে এসেও ফিরে যেতে হয়েছে রোগীর আত্মীদের। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙতে থাকে রোগীর পরিবারে। চিকিৎসক-রোগীর আত্মীয়র মধ্যে বাদানুবাদ চরমে পৌঁছয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিরাট পুলিশবাহিনী। 

আরও পড়ুন- গণছুটির আবেদন চিকিৎসকদের, কাল ভেঙে পড়তে পারে রাজ্যের চিকিৎসা ব্যবস্থা

প্রসঙ্গত এই অশান্তির সূত্রপাত সোমবার রাতে।  চিকিৎসায় গাফিলতির জেরে এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে, এই অভিযোগে নীলরতন সরকার হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন মৃতের পরিজনরা। রাতের দিকে হাসপাতালে কর্তব্যরত এক জুনিয়র চিকিৎসক পরিবাহ মুখোপাধ্যায়কে বেধড়ক মারধর করা হয়। তাঁর ফ্রণ্টাল লোবে ভেঙে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ইনস্টিটিউট অফ নিউরো সাইন্সে। এর পরেই নিরাপত্তার দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। স্থির হয় রাজ্যজুড়ে কর্মবিরতি করবে জুনিয়র ডাক্তাররা।  এ দিন সকালে থেকেই ওপিডি পরিষেবাও বন্ধ করে দেন তাঁরা। হাসপাতালের গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন তাঁরা। বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, কল্যাণীতেও কর্মবিরতি ঘোষণা করে চিকিৎসকরা। কলকাতার বাকি হাসপাতালগুলি থেকেও আসে  সমর্থন। 

কিন্তু কথা ছিল এই গণছুটির মধ্যেও জরুরি পরিষেবা বহাল থাকবে। সেই পরিষেবাও বিঘ্নিত হওয়ার সমস্যায় ভোগান্তির মুখে দাঁড়িয়ে কয়েক হাজার রোগী। কর্মবিরতি এখনও বহাল। তাঁদের সাফ কথা তিন দফা দাবি না মানা হলে কোনও ভাবেই তাঁরা কর্মবিরতি ভাঙবেন না। প্রশাসনও সমস্যার সমাধানে সক্ষম না হলে কী ভাবে মিটবে সমস্যা? প্রশ্ন থাকছে।   
 

PREV
click me!

Recommended Stories

বিধায়ক হয়ে আয় একধাক্কায় দ্বিগুণেরও বেশি! জমি-ফ্ল্যাট-গাড়ি নিয়ে মোট কত সম্পত্তি হুমায়ুন কবীরের?
'গীতাপাঠ হয়েছে, এবার কোরান পাঠ করাব' ফের হুঁশিয়ারি দিলেন হুমায়ুন কবীর