কলকাতায় জ্বালানীর দামে আবারও আগুন। কংগ্রেস প্রতিবাদেও কাজ হল না, ফের মূল্যবৃদ্ধি প্রেট্রোল-ডিজেলের। উল্লেখ্য, দেশের একাধিক শহরে আগেই পেট্রোল-ডিজেলের দাম একশো পার করে গিয়েছে।পেট্রোল ও ডিজেলের দাম বাড়িয়ে চলেছে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি। কার্যত লকডাউনের মাঝে পেট্রোল-ডিজেলের দাম বেড়ে নাভিশ্বাস উঠেছে শহরবাসীর।
আরও পড়ুন, 'দায়ী BJP সরকার', পেট্রোপণ্যের দামে আগুন লাগতেই বিক্ষোভ কর্মসূচি কংগ্রেসের
বুধবার কলকাতায় পেট্রোলের দাম বেড়ে হয়েছে লিটার প্রতি ৯৬ টাকা ৫৮ পয়সা। এবং ডিজেলের দাম বেড়ে হয়েছে ৯০ টাকা ২৫ পয়সা। এদিন ব্য়াঙ্গালুরুতে লিটার প্রতি পেট্রোলের দাম ৯৯ টাকা ৮৯ পয়সা এবং ডিজেলের দাম বেড়ে হয়েছে ৯২ টাকা ৬৬ পয়সা। দিল্লিতে লিটার প্রতি পেট্রোলের দাম ৯৬ টাকা ৬৬ পয়সা। এবং ডিজেলের দাম হয়েছে ৮৭ টাকা ৪১ পয়সা। মুম্বাইয়ে এক লিটার পেট্রোলের দাম ১০২ টাকা ৮২ পয়সা এবং ডিজেলের দাম ৯৪ টাকা ৮৪ পয়সা। চেন্নাইয়ে এক লিটার পেট্রোলের দাম ৯৭ টাকা ৯১ পয়সা। পাশপাশি ডিজেলের দামা চেন্নাইয়ে ৯২ টাকা ৪ পয়সা।
আরও পড়ুন, 'বৈশাখী শোভন ব্যানার্জি', কলকাতার প্রাক্তন মেয়রের সঙ্গে নতুন অধ্যায় শুরু বৈশাখীর
উল্লেখ্য়, ইতিমধ্যেই পেট্রো পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বুধবার উত্তর দিনাজপুর জেলার হেমতাবাদে পেট্রোল পাম্পের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন কর্মসূচি পালন করেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার হেমতাবাদ ব্লক কংগ্রেস। হেমতাবাদ ব্লক কংগ্রেস সভাপতি মিহির ভৌমিক বলেন, প্রতিদিনই অস্বাভাবিক হারে মূল্য বৃদ্ধি ঘটে চলেছে ডিজেল ও পেট্রোলের। একশো টাকা ছুঁই ছুঁই পেট্রোল কিনতে নাভিশ্বাস উঠছে সাধারন মানুষের। এরজন্য সম্পূর্ণভাবে দায়ী কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। পেট্রো পণ্যের মূল্য হ্রাস ঘটাতে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ মোদীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। পাশাপাশি 'রাজ্য সরকারের উচিত অবিলম্বে পেট্রোল ডিজেলের উপর সেচ নেওয়া বন্ধ করা' বলেও জানিয়েছেন মিহির ভৌমিক।
'অস্বাভাবিক হারে পেট্রোল ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে বোধদয় হোক রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের', এরই বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছে ভারতের জাতীয় কংগ্রেস দল। কংগ্রেসের এআইসিসির নির্দেশ অনুযায়ী সারা দেশের প্রতিটি জেলায় পেট্রো পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে পেট্রোল পাম্পের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি গ্রহন করা হয়েছে। নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান রাজীব কুমার জানিয়েছেন, পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়ছে। কেন্দ্রকে ভারসাম্য রক্ষা করে চলতে হয়। কেন্দ্রের দায়িত্ব মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা। তাই রোজ দফায় দফায় পেট্রোপণ্যের দাম বাড়ছে। দেশের পাঁচ রাজ্যে একুশের নির্বাচনের প্রক্রিয়া চলাকালীন আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের মূল্যবৃদ্ধি হয়। তবে, সেই সময় দেশের বাজারে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম বাড়েনি। এরপর ২ মে বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশিত হওয়ার পরই দাম সংশোধিত হতে শুরু করেছে।